Loading Now

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মোদি

রতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ভয়াবহ এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন যাত্রী। ২৪২ আরোহী নিয়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় শহরের বিএম মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল এলাকার ওপর, যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে বহু শিক্ষার্থীও হতাহত হন। দুর্ঘটনায় শুধু একজন যাত্রী, ব্রিটিশ-পাসপোর্টধারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বাস কুমার রমেশ জীবিত উদ্ধার হয়েছেন।

দিল্লির স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি মেইডে সংকেত পাঠায় এবং পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর সেটি বিধ্বস্ত হয় মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল এলাকার ডাইনিং হলের ওপর, যেখানে সেসময় বহু শিক্ষার্থী খাবার খাচ্ছিলেন।

বিমানটিতে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

ভয়াবহ এই ঘটনার একদিন পর শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহমেদাবাদ পৌঁছে সোজা দুর্ঘটনাস্থলে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জারাপু, প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহোল এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

পরিদর্শন শেষে মোদি গেছেন আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ এবং আহত অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “পুরো ঘটনাটি এতোটাই হৃদয়বিদারক, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ক্ষতিগ্রস্ত সবার পাশে আছি।”

বিশ্বাস কুমার রমেশ বলেন, “উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পরই বিকট শব্দে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। লাশ আর ধ্বংসাবশেষে ঘেরা জায়গা থেকে কোনোমতে উঠে দৌড় দিই, এরপর কেউ একজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।”

ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। কেন্দ্র সরকার এরই মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

বিমানের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আশপাশের এলাকাজুড়ে। বিমানের লেজ আটকে থাকে হোস্টেল ভবনের ছাদে। পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী জানিয়েছেন, ১১এ নম্বর আসনের যাত্রী রমেশকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও কিছু মানুষকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যাদের কেউ কেউ হয়তো বেঁচে থাকতে পারেন।

টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করা হবে। সেই সঙ্গে বিধ্বস্ত হোস্টেলের পুনর্নির্মাণেও সহায়তা করা হবে।

এর আগে, ২০২০ সালে কেরালার কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছিলেন। চার বছর পর আবারও বড় ধাক্কা খেল ভারতের বিমান পরিবহন খাত।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।