দিনাজপুরে প্রখর তাপদাহে জনজীবন বিপর্যন্ত
দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকায় প্রখর তাপদাহ আর তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে। গত ছয়দিন দিনাজপুর সদরসহ এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। যা মৃদ্যু তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারনে মানুষ সহ প্রানীকুল বিপর্যস্ত।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর জেলার তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ।
আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরশহর ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড গরমে কারনে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহনসহ মানুষের চলাচল সামান্য। কাজের প্রয়োজনে যারা বেরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ছাতা বা মাথায় গামছা ব্যবহার করছেন। শাহরের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজার বাহাদুর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা অত্যন্ত কম।
এই অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে মানুষ বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তীব্র গরমের কারণে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
শহরের শ্রমজীবি মানুষ বিভিন্ন মেড়ের গাছতলা ও ছায়া যুক্ত স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। ঈদের ছুটিতে অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় কর্মচাঞ্চল্যতা অনেক কম। তবে শ্রমজীবি মানুষের অবসরের উপায় নেই, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ ধরতে হচ্ছে, নাহলে যে পেটে ভাত জুটবে না।
দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বর্তমানে দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উর্ধ্বে ওঠানামা করছে। এ অবস্থায় চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র গরমের কারণে আশপাশের এলাকায় জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের ব্যাথা, ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনাজপুর মেডিকেলকলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে ভিড় বেড়েছে এসব রোগীর।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।