সেচের জন্য কাবেরী নদীর পানি ছাড়ল তামিলনাড়ু সরকার, উল্লাসে কৃষকরা
তামিলনাড়ুর কাল্লানাই বাঁধ থেকে কাবেরী নদীর পানি ছাড়ার দৃশ্য ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ নদীর শুকিয়ে যাওয়া তলদেশে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করতেই স্থানীয়রা মাটিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ফুল দেন এবং হাতজোড় করে নদীকে স্বাগত জানান। হৃদয়ছোঁয়া এই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বহু ব্যবহারকারীর মন জয় করেছে।
গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কাবেরী ব-দ্বীপ অঞ্চলে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য পানি ছাড়ার নির্দেশ দেন।
থাঞ্জাভুর ও তিরুচি জেলার সীমান্তে অবস্থিত ঐতিহাসিক কাল্লানাই বাঁধ থেকে এই পানি ছাড়া হয়। বাঁধের তীরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ও ধানের বীজ নিক্ষেপ করে প্রতীকীভাবে এই পানিপ্রবাহের সূচনা করেন। এই পানি ছাড়ার ফলে প্রায় ১৩ লাখ একর কৃষিজমি সেচের আওতায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনার প্রশংসা করেছেন।
একজন প্রযুক্তিবিদ এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নবীন রেড্ডি এক্স (সাবেক টুইটার) এ লিখেছেন, ‘কাবেরীর আগমন মানুষের হৃদয়কে উজ্জীবিত করে তোলে। এটি শুধু পানি নয়, বরং আবেগ, ঐতিহ্য এবং ঐক্যের প্রবাহ।’ তিনি আরো বলেন, ‘পানির আগমন প্রথম বর্ষার আনন্দের মতোই উৎসাহব্যঞ্জক।’
একজন ব্যবহারকারী আবেগভরে লেখেন, ‘এটা দেখে হৃদয় ভরে যায়, নদীকে এখনো দেবীরূপে পবিত্র সত্তা হিসেবে সম্মান করা হয়।
এই বিশ্বাস এবং ঐতিহ্য আজও টিকে আছে।’ আরেকজন জানান, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি, একজন মহিলা কাবেরীর প্রথম জলের স্রোত স্পর্শ করে আনন্দে অশ্রু ঝরাচ্ছেন।’
স্থানীয়দের এই আবেগঘন প্রতিক্রিয়া কেবল ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক আনুগত্যের প্রতিফলন নয়, বরং এটি কৃষি, জীবনধারা ও হাজার বছরের ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সংযুক্তি তুলে ধরছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।