যাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়
কাঁঠাল একটি উপকারী ফল। নানা ধরনের খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে কাঁঠালে। অর্থাৎ যেসব পুষ্টি মানুষের দেহে প্রয়োজন তার প্রায় সবই কাঁঠালে আছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কাঁঠাল খেলে হজমশক্তি ভালো হয়, সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। হৃদরোগ, কোলন ক্যানসার এবং পাইলসের সমস্যায় কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারী বলা হয়।
এজন্যই বাঙালিরা পুষ্টির অভাব পূরণ করার জন্য কাঁঠাল খেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় কাঁঠাল পুষ্টির রাজা এবং গরিবের খাদ্য হিসেবে পরিচিত। যদিও কাঁঠাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু কারও কারও খেলে অনেক প্রতিকূলতা ও অ্যালার্জি হতে পারে। যাদের রক্ত সংক্রান্ত কোনো রোগ আছে তাদেরও কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারা কাঁঠাল খেতে পারবেন না।
অ্যালার্জির রোগীদের কাঁঠাল খাওয়া ঠিক না
অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঁঠালে থাকে পোলেন বা ল্যাটেক্স। এই দুই উপাদান কারও কারও শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়েবমেড। এ ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তাদের কাঁঠাল এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর
ডায়াবেটিসের ভয়াবহতার কথা জানা আছে নিশ্চয়ই? যারা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যারা প্রিডায়াবেটিস সেকশনে রয়েছেন তারা বেশি কাঁঠাল খেলে ক্ষতি হওয়ার ভয় বেশি রয়েছে। কারণ কাঁঠালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। যে কারণে কাঁঠাল খেলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পায় দ্রুত।
সার্জারির পর কাঁঠাল খাবেন না
সার্জারির পর অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। সার্জারির পরপর সব রোগীকেই কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। কাঁঠাল খেলে তা সেসব ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। তাই সার্জারির আগে ও পরে কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর হতে পারে
গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খেলে খুব বেশি সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে কিন্তু এসময় জটিলতা বাড়তে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া কমাতে হবে। ব্রেস্টফিড করার সময়ও এ ফল অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
দিনে কতটুকু কাঁঠাল খেতে পারবেন?
সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে দিনে কাঁঠালের ২ থেকে ৩টি কোয়া খাওয়া স্বাভাবিক। তবে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে এ ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কাঁঠাল খেলে কাদের উপকার হয়?
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যদিও এটি সরাসরি কোলন ক্যানসারের চিকিৎসাকে প্রভাবিত করে না, তবে এটি ক্যানসারের অগ্রগতি রোধ করতে পারে। পাইলসের ক্ষেত্রে কাঁঠাল খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে হেমোরয়েড হয়। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশ বেশি। এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও এর মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।