Loading Now

প্রতিরক্ষায় ৫ শতাংশ বাড়াবে ইউরোপীয় দেশগুলো

পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর সদস্য দেশগুলোর নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে একমত হয়েছেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে নেটো দেশগুলোর বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করতে রাজি হয়েছেন তারা। যা আগে ছিল জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ।

ট্রাম্প নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার জন্য এক ‘বিশাল জয়’ বলে অভিহিত করেছে। তিনি বলেন, নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এই ঘোষণা ‘প্রতিরক্ষায় বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি’ হিসাবেই পরিচিতি পাবে।

বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অনুষ্ঠিত নেটো সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই জোটের ৩২টি দেশ পাঁচ-দফা সম্বলিত এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ওই লক্ষ্য নির্ধারণ করে। নেটোর প্রতিরক্ষা তহবিল বাড়াতে কেবল ট্রাম্পের দাবিই নয়, বরং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি নিয়ে ইউরোপীয়দের আশঙ্কা ও উদ্বেগ এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে। জোটের কোনও দেশর ওপর হামলা হলে একযোগে প্রতিরক্ষার সেই ‘লৌহদৃঢ়’ নীতিতেও (আর্টিকেল ৫) প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকার ঘোষণা সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে দিয়েছেন নেতারা।

আর্টিকেল ৫ অনুযায়ী, নেটো জোটের একটি সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ পুরো জোটের ওপর আক্রমণ বলে বিবেচিত হয় এবং সবাই একযোগে তা মোকাবেলা করে। ট্রাম্প নিজেও এই নীতিতে তার অবস্থান ষ্পষ্ট করে বলেছেন, আমি এর (আর্টিকেল ৫) পক্ষে। না হলে আমি এখানে থাকতাম না।

ট্রাম্প এর আগে আর্টিকেল ৫ এর বিভিন্ন সংজ্ঞার কথা উল্লেখ করে এই নিরাপত্তা নীতির নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই মনে হয়েছিল। তবে এবারের নেটো সম্মেলনে এর পক্ষেই কথা বললেন তিনি। ট্রাম্প অনেকদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলের ওপর নেটোর নির্ভরশীলতা কমাতে এই জোটের অন্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সেই দাবি পূরণ হওয়ায় এবারের নেটো সম্মেলনকে ‘বড় সাফল্য’ বলে প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। ওদিকে, নেটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে আরও শক্তিশালীভাবে এই জোটের পুররুত্থান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আগামী ১০ বছরে নেটো প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপি’র ৫ শতাংশ বাড়ানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তার মধ্যে অন্তত ৩.৫% ব্যয় করা হবে মূল প্রতিরক্ষা খাতে। যেমন- সেনা ও অস্ত্রের মতো খাতে। আর ১.৫% ব্যয় করা হবে আরও বৃহত্তর প্রতিরক্ষা-সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নিতে। যেমন- সাইবার নিরাপত্তা, পাইপলাইন সুরক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুরক্ষা খাতে।

সম্মেলনে সাধারণভাবে সব নেতাই মতৈক্যে পৌঁছেছেন বলে মনে হয়েছে। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর পথে বাধা হিসাবে ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কনীতিকে দায়ী করেছেন।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।