Loading Now

রংপুরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার: প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-নগত অর্থ) ও রক্ষণাবেক্ষণ( টিআর-নগত অর্থ) কর্মসূচির আওতায় ইকরচালী ইউনিয়নের চারটি প্রকল্পে প্রকল্প সভাপতির(সংষ্লিষ্ট ইউপি সদস্য) বিরুদ্ধে প্রকল্প কাজে অনিয়ম ও ছয়নয় করার অভিযোগ উঠেছে। অর্থবছর শেষ হলেও ওই সমস্ত প্রকল্পে নামে ম্ত্রা কাজ করে প্রকল্প সভাপতি প্রকল্পের সমূদয় অর্থ লোপাটের চেষ্টায় পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসব প্রকল্পে তারা অফিসকে খুশি করেই এসব কাজ করেছেন বলে এলাকায় সচেতন নাগরিক মনে করেন। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , তারাগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-নগত অর্থ) ও রক্ষণাবেক্ষণ( টিআর-নগত অর্থ) কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প সমূহে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার মধ্যে ইকরচালী ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ৬ নং ওয়ার্ড বাছুরবান্ধা দুর্গা মন্দির মোড় হতে পশ্চিম দিকে দোলা পাড়া যাবার রাস্তা সংস্কার ও এইচবিবি করণ যা পরে পরিবর্তন করে বাছুর বান্দা প্রাইমারি স্কুলের দক্ষিন দিকে রাস্তায় রাস্তা সংস্কার ও এইচবিবি করণ প্রকল্প ধরা হয়েছে যার বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প সভাপতি সংশিষ্ট মহিলা ইউপি সদস্য শ্যামলী রায়। এই প্রকল্পটিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রকল্পটিতে নামে মাত্র কাজ দেখিয়ে অফিসকে খুশি করে শুধু মাত্র কয়েক হাজার ইট রাস্তায় বিছিয়ে দিয়ে প্রকল্পের সমূদয় অর্থ লোপাটের চেষ্টা করছেন প্রকল্প সভাপতি শ্যামলী রায়।

অপরদিকে একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আরিফের বাড়ি হতে সজিবের বাড়ির ভাঙ্গা রাস্তা পর্যন্ত সংস্কার ও বিএসএস করণ যার প্রকল্প বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা গম) কর্মসূচির আওতায় একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বানিয়াপাড়া আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়ি হতে খালেকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও বিএফএস করণ যার বরাদ্দ ৫ মে:টন গম ও ৮ নং ওয়ার্ডের ইকরচালী ডাঙ্গাপাড়া নুরুল হক বাবুর দোকান হতে বানিয়াপাড়া পর্যন্ত্ত রাস্তা সংস্কার ও বিএফএস করণ যার বরাদ্দ ১৩ মে টন চাল প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । এই সমস্ত প্রকল্পের সভাপতি ইকরচালী ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম। তিনি একাই তিনটি প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে নামে মাত্র কাজ করে প্রকল্পের অর্থ লোপাটের চেষ্টায় আছেন।আবার একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দুহাজারী বিড়াবাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার পিছনের পুকুরের রাস্তা সংস্কার ও গাইডওয়াল এবং হাফিজুলের বাড়ির পাকা রাস্তা পর্যন্ত সংস্কার বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা। সেখানে কয়েকটি পিলার দিয়ে কয়েকশ ইট গাথুনি করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ইকরচালী ইউপি সদস্য শ্যামলীর পরিবর্তিত প্রকল্পটি বাছুর বান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এইচবিবি করণ রাস্তাটিতে যত টুকু কাজ হওয়ার কথা তত টুকু হয়নি। নামে মাত্র কাজ করে অফিসকে দেখানো হয়েছে। এইচবিবি করন প্লান স্টিমেট অনুযায়ী কাজ না করে এলোমেলো ভাবে ২/৩ ইঞ্চি ফাঁক ফাঁক করে ইট বিছানো হয়েছে, অনেক জায়গায় ইট দেওয়া হয়নি।আবার বেশ কয়েক জায়গায় ইট সরে গিয়ে নিচু জায়গায় পড়ে আছে। মাঝে মাঝে ভাঙ্গা চুর রাস্তার মাটি নিচে নেমে দেবে গেছে। বাছুরবান্দা এলাকার বাসিন্দা জতিশ রতন মিল্টনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন লোক দেখানো কাজ করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এই শ্যামলীর বিরুদ্ধে গত অর্থবছরেও এক প্রকল্প দেখিয়ে অন্য প্রকল্পে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগও আছে।তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড রবি মেম্বারের বানিয়াপাড়া আব্দুল্লাহ মিয়ার বাড়ি হতে খালেকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও বিএফএস করণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় প্রকল্পের প্ল্যান স্টিমেজ কাজ হয়নি। অর্ধেক কাজ করে প্রকল্প অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে অন্য আরও তার দুইটি প্রকল্পেও একই অভিযোগ । অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করলে অনিয়মগুলো লাঘব হবে স্থানীয় সচেতন নাগরিক মহল মনে করেন।

অপরদিকে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে খারুভাজ মৌজার খারুভাজ জামে মসজিদ হতে সেন্টারে হাট ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও বিএফএস করন যার বরাদ্দ ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা । এটিও প্লান-স্টিমেটের মত কাজ না করে নামে মাত্র কাজ করে অর্থ উত্তোলন কওে পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সভাপতি আবেদ আলীর বিরুদ্ধে। মানুষের যাতায়াতের রাস্তায় প্রকল্প কাজের শেষ মাথায় হাঁটু পানি জমা থাকে সেটিরও কোন ব্যবস্থা না করে তিনি বিল উত্তোলন করেছেন ।

ইকরচালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য(৪,৫,৬) ও প্রকল্প সভাপতি শ্যামলী রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি পাত্তা দেননি পরে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।আবেদ আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।

ইকরচালী ৮নং ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সমস্ত প্রকল্প কাজ ঠিকঠাকভাবে করেছি ভুল ধরার হলে অফিস ধরবে আপনাকে কেন জবাবদিহি করতে হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, শ্যামলীর কাজে অনিয়মের ব্যাপারে জানতে পেরেছি এই কারণে তার বিল অনেকদিন আটকে ছিল কিন্তু ইদানিং কাজ সমাপ্ত করেছে বলে জেনে তার বিলসহ অন্যান্ন প্রকল্পের বিল দিয়ে দিয়েছি। কোন প্রকল্প কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।