ক্রিমিয়ায় রুশ হেলিকপ্টার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া অঞ্চলের কিরোভস্কে বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। রাতভর চালানো এই হামলায় ঘাঁটিতে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ-এর পক্ষ থেকে। খবর আলজাজিরা।

আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন

এসবিইউ জানায়, ওই বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার গোলাবারুদের গুদাম, ড্রোন ও যুদ্ধ উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী ইউনিট ছিল, যেগুলোকেই এই ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়। হামলায় এমআই-৮, এমআই-২৬ ও এমআই-২৮ মডেলের হেলিকপ্টারসহ ‘পান্তসির-এস১’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।

যেসব কাজ আমল নষ্ট করে দেয়

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই হামলার লক্ষ্য ছিল রুশ বাহিনীর সম্ভাব্য বিমান হামলার প্রস্তুতি বন্ধ করে দেওয়া। শত্রুপক্ষকে বুঝতে হবে, দামি সামরিক সরঞ্জাম কিংবা গোলাবারুদের জন্য এখন আর কোনো স্থান নিরাপদ নয়—না যুদ্ধক্ষেত্রে, না ক্রিমিয়ায়, এমনকি ঘাঁটির পেছনের দিকেও নয়।’

আমাদের গ্রপে যুক্ত হোন

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিন্ন দাবি। তারা বলেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ইউক্রেনের ছোড়া অন্তত ৪০টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওদেসা অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কিপার জানান, ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে, এতে কয়েকজন প্রাণ হারান এবং অন্তত ১৪ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে।

দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক, খালি হচ্ছে গ্রাম

দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলেও রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর ওলেক্সান্দর প্রোকুদিন। তিনি বলেন, রুশ সেনারা এলাকার জনসাধারণের ব্যবহৃত অবকাঠামো, বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।

অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের চেরভোনা জিরকা গ্রামটি দখলে নিয়েছে। ২০২২ সালের একটি বিতর্কিত গণভোটের পর থেকেই মস্কো এ অঞ্চলকে নিজেদের এলাকা হিসেবে দাবি করে আসছে।

চলমান যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা থাকলেও অগ্রগতি হয়নি। চলতি জুন মাসে তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি সরাসরি বৈঠকের আয়োজন করা হলেও সেখানেও কোনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি।