ডেঙ্গুর ছোবলে আরও একজনের মৃত্যু, ঢাকার বাইরে বেশিরভাগই আক্রান্ত
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। রোববার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজন নারী মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে ৩৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩২৩ জনই রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা, যা এডিস মশাবাহিত এই রোগটির গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে সমানভাবে বিস্তারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৬৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৮২৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৪২ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকায় ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগের বাইরে ৪৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৮ জন, খুলনা বিভাগের বাইরে ৪১ জন, ময়মনসিংহের বাইরে ১০ জন এবং রাজশাহীর বাইরে ৩৩ জন ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
মৃত্যুর সর্বশেষ ঘটনাটি রাজশাহী বিভাগের এক নারী রোগীর। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বড় বার্তা হয়ে উঠছে।
ডেঙ্গুতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। ২০২৩ সালে মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছিল এক হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭৫।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকাল ঘনিয়ে এলে এডিস মশার বিস্তার বৃদ্ধি পায়। তাই পরিচ্ছন্নতা অভিযান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, জনসচেতনতা এবং মশা নিধন কার্যক্রম জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরা।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।