কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবুধকে ধর্ষণের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবুধকে ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় শহরের ১নং রেলগেট আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি যৌথ ভাবে পালন করেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা সভাপতি সভাপতি পরমানন্দ দাস, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, নারী মুক্তি কেন্দ্রের জেলা সংগঠক মাসুদা আক্তার, ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা সরকরি কলেজ শাখার জেলা সভাপতি কলি রানী বর্মন, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বসুনিয়া ও সংগঠক জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে এক হিন্দু গৃহবধুকে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তা কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। নারীকে সমাজে নিকৃষ্টভাবে উপস্থাপন করে বাস্তবে মানব সভ্যতাকেই অপমান করা হয়েছে। একটা সমাজের গনতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা কতটুকু ভঙ্গুর তা এই ঘটনায় বুঝা যায়।
বক্তারা আরো বলেন, একটি অপরাধের বিচার না হলে শত অপরাধ জন্ম নেয়। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তনু ও খাদিজাসহ অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাদের বিচার হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা অনস্বীকার্য। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বতী সরকার নারীদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেখলাম নারীরা ঘরে-বাহিরে কোথাও নিরাপদ নয়। এই সরকারের আমলেও আছিয়া, লামিয়া এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা ছাড়াও অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। তাই এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি সকল গণতন্ত্রমনা মানুষকে নারী নিপীড়ক-ধর্ষকদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।