চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৮ টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৮ টাকা

10 July, 2025 | সময়: 7:50 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ঈদুল আজহার পর মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ – ৮ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানায়, টানা বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। তবে ভোক্তা ও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানায়, এ দাম বৃদ্ধির পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে চালকল মালিকদের অবৈধ মজুত এবং বাজারের কারসাজি।

জেলার খুচরা বাজারে বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৭৮-৮০ টাকা। মোটা চাল যেমন স্বর্ণা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজি দরে, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের চালের দাম ৬২-৬৫ টাকা কেজি।

নিউমার্কেট এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমান বলেন, “ভরা মৌসুমেও চালের এই দাম অযৌক্তিক। মিল মালিকদের যোগসাজশেই দাম বাড়ানো হচ্ছে।”

চাল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বাবলু বলেন, “অটো রাইস মিল মালিকরা বড় মোকাম থেকে বিপুল পরিমাণ ধান কিনে মজুত করছেন। এতে ধানের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি চালের বাজারে পড়ছে।”

তবে শিমুল অটোরাইস মিলের মালিক ওমর খৈয়ম শিমুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই ধান মজুত রেখেছি, বরং এটা নির্ধারিত পরিমাণের চেয়েও কম আছে। এছাড়া রাইস ব্র্যান পাউডারের দামও স্থিতিশীল না থাকায় চালের দাম বেড়েছে।”

শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ক্রেতা ওমর ফারুক বলেন, “মোটা চালের ২৫ কেজির বস্তায় এখন ১৫০ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গরিব মানুষের জন্য চাল কেনা কষ্টকর হয়ে যাবে।”

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, “চালকল ছাড়াও অনেকে বাসাবাড়িতে চাল মজুত করছে। এসব অবৈধ গোডাউন চিহ্নিত করে অভিযান চালালে দাম কমে আসবে।”

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।