নীলফামারীতে নারী সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারীতে নারী সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালী শাহ এর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ওই হামলার শিকার হন। একদল দৃস্কৃতিকারী তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে করা হয় হেনস্তা। এটি ঘটে গত ৮ জুলাই জেলা সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নে। এ সমস্ত কিছুর পিছেনের নায়ক ওই ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের দোসর আমিনুর রহমান। আর আমিনুর রহমান হলেন নীলফামারীর দুনীতিবাজ সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নুরের ঘনিষ্টজন। তার ক্ষমতার দাপটে চেয়ারম্যান ছিল বেপড়োয়া।
সেদিন সাংবাদিক স্বপ্না সেখানে যান একটি বাল্য বিয়ে হচ্ছে তার তথ্য নিতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পান এটি বাল্যবিয়ের ঘটনা নয়। সাবালিকা একটি মেয়েকে নিয়ে ওই এলাকার চেয়ারম্যান চক্র বলা চলে হুলি খেলছে। আর না বুঝে ওই মেয়েটি তাদের কথায় নাচছে। তারা মেয়েটিকে অনেকটা জোর করে এক ছেলের বাডায় ঢ়ুকে দিয়ে তাদের কাজ হাসিল করবে। কিন্তু সাংবাদিক দেখে তারা ওই কাজটি করতে না পেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা করে।
ওই সময় বিষয়টি নারী সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওই চেয়ারম্যানকে অবহিত করলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনী দিয়ে সাংবাদিককে হেনস্তা করে।
পরদিন ওই সাংবাদিকের স্বামী বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ দেয়ার পর আসামীরা আবার বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে। দ্রুত সময়ে আসামী গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গোটা জেলা জুরে চলছে মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি।
তারই অংশ হিসাবে ১৬ জুলাই নীলফামারী চৌরঙ্গী মোড়ে সম্মিলিত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধন পালিত হয়।
এ সময় বক্তব্য বলেন, জেলা রিপোর্টার ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন,সাংবাদিক নেতা মেহেদী হাসান মেনন,কিশোরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান,আব্দুস সালাম, ডোমার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রশিদ, জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রাশেদুজ্জামান সুমন, ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পাভেল, হেদায়েতুল সুজন, মানিক মন্ডলসহ অনেকে।
তারা বলেন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের নির্দেশে স্থানীয় শ্যামল রায়, চন্দন মেম্বার সাংবাদিক দম্পতিকে হামলা হেনস্থা করে। হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মাড়ে। রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন, নীলফামারীতে এমনিতেই নারী সাংবাদিক নেই বললে চলে। যে দুজন ছিলো তারাও নানান কারণে চলে গেছে। শুধু রয়েছে স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ্। আজকে যদি স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ্ সুষ্ঠু বিচার না পায় তাহলে হয়তো আমরা তাকেও হারাবো। আগামীতে এ পেশায় আর নারীরা আসতে চাইবে না।
তাই হেনস্থা কারী শ্যামল রায়, চন্দন রায় এবং নির্দেশদাতা চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দাবি করা হয়।
এদিকে গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ডোমার ডিমলা ও জলঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সদস্যরা।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।