বগুড়ায় শিশু মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, আসামি গ্রেফতার
বগুড়ায় শিশু মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, আসামি গ্রেফতার
বগুড়ায় শিশু মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় বাবা শাকিল আহম্মেদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে পিটিয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রাজু শেখ (৪০) ধরা পড়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যারা রোববার রাতে তাকে ঢাকার গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার (বিএন) এম আবুল হাশেম সবুজ সোমবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি কারিগরপাড়ার মৃত সেকেন্দার আলী সরকারের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (পরে বহিষ্কৃত) জিতু সরকার (৪৩) দীর্ঘদিন ধরে শাকিলের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় জিতু ক্ষিপ্ত হয়। গত ১৪ জুন বেলা ১২টার দিকে শাকিল অটোরিকশা নিয়ে শহরের শিববাটি শাহী মসজিদ রোডে একটি মুদি দোকানের সামনে পৌঁছেন। এ সময় প্রধান আসামি জিতু সরকারের নেতৃত্বে অন্যারা শাকিলকে বেদম মারপিট করেন। তখন শাকিলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি দৌড়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নেন।
একই দিন বেলা ২টার দিকে জিতুর নেতৃত্বে ৫-৬টি মোটরসাইকেলে আসামিরা শাকিলের বাড়িতে হানা দেয়। তারা শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে শহরের ফুলবাড়ি মৃধাপাড়ায় করতোয়া নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘসময় তাকে প্রকাশ্যে অমানুষিক লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে শরীরে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে শাকিল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন ভিকটিম শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মালেকা ১৪ জুন সদর থানায় জিতু সরকারকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেন। গোপনে খবর পেয়ে রোববার রাতে ডিএমপির গুলশান থানার নিকেতন এলাকার রাস্তায় হত্যা মামলার ২নং পলাতক আসামি রাজু শেখের অবস্থান নিশ্চিত করেন। এরপর র্যাব-১ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজু বগুড়া শহরের শিববাটি ঘোড়াপাড়া এলাকার মো. সলুর ছেলে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার রাজুকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোস্তাফিজ আলম জানান, চাঞ্চল্যকর শাকিল আহম্মেদ হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামি জিতু সরকারসহ সাতজন গ্রেফতার হয়েছে। ২নং আসামিকে র্যাব গ্রেফতারের পর হস্তান্তর করেছে। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হবে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।