নওগাঁয় বর্ষার আগমনে বেড়ে যায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা
নওগাঁয় বর্ষার আগমনে বেড়ে যায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা
ত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ। মৎস্য ও শষ্য ভান্ডার খ্যাত সবুজে ঘেরা এ জেলার আত্রাই উপজেলা নদী বেষ্টিত একটি উপজেলা। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুমাস বর্ষাকাল। মুষল ধারে বুষ্টি না হলেও কিছু দিন পর পর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে ঘরের বাইরে বের হলেই সঙ্গে নিতে হয় ছাতা। ছাতা যদি ব্যবহারে ফুটো কিংবা ভাঙ্গা হয় তখনই বিপত্তির শেষ নেই। এই বিপত্তির কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে ছুঁটে সবাই ছাতা মেরামত কারীদের কাছে।
কিন্তু ছাতা মেরামত বছরের অন্যান্য সময় কেউ করে না। দাম কম হওয়ায় ছাতা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই আর মেরামত ও করতে চান না। অনেকেই আবার নতুন ছাতা কিনে নেয়।
পূর্বে কাঠের হাতাওয়ালা ছাতার প্রচলন ছিল। গ্রামের লোকেরা ওই ছাতা ব্যবহার করতো। সেই ছাতাও তৈরি হতো। কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। কাঠের ছাতার কারিগরদের দুর্দিন চলছে। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
তবে বর্ষায় ভরসা এসব কারিগরদের এখন সুদিন। বছরের অন্য সময়ে ছাতা মেরামতের কাজ না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। নওগাঁ উপজেলা জজকোটের সামনে কারিগর তোফাজ্জল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, প্রতিদিন উপার্জন তাদের একরকম হয়না আজ হয়েছিল দেড় হাজার টাকা।
এ উপজেলার ছাতা মেরামতকারি আকরাম হোসেন বলেন, এ অঞ্চলে ছাতা মেরামতের কারিগর তেমন ছিল না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে এই এলাকায় আসতেন কারিগররা। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে ফুটো কিংবা ভাঙা ছাতা মেরামত করতেন। ছাতার কারিগরদের সারা বছর কদর না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের কদর বাড়ে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই আমাদের এ পেশা বদল করতে হয়।
ছাতা মেরামতকারী একাধিক কারিগরদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাজের চাপ একটু বেড়েছে। আয় মোটামুটি ভালো হলেও অন্য সময় বেকার হয়ে বসে থাকতে হয়।
যেদিন বৃষ্টি হয় সেদিন ছাতা মেরামতের কাজ থাকে। বাকি দিনগুলোতে অন্য কাজকর্ম করতে হয়। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তাদের খরচসহ পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এ পেশায় আমাদের পরে পরিবারের আর কেউ আসবে না। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।