নফল ইবাদতেও মিলতে পারে জান্নাত
নফল ইবাদতেও মিলতে পারে জান্নাত
নফল ইবাদতে অভ্যস্ত মুসলিমদের জন্য একটি অত্যন্ত খুশির বার্তা এটি। যেখানে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এমন কিছু ছোট আমলও রয়েছে যেগুলো পরকালের মুক্তির জন্য যথেষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর এমন সহজ সুযোগ হাতছাড়া করা কোনো মুমিনেরই উচিত নয়।
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ .
উকবাহ্ ইবনে ’আমির আল জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে লোক ভালোভাবে অজু করে তারপর নিষ্ঠার সাথে দু’রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্যে জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
-( সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৫১)
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
এই হাদিসটি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি সুসংবাদপূর্ণ বাণী, যাতে নামাজ ও অজুর গুরুত্ব এবং ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। “যে ব্যক্তি ভালোভাবে অজু করে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- পূর্ণ সতর্কতা ও সুন্নাত পদ্ধতি অনুযায়ী মনোযোগসহকারে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ ঠিকভাবে ধৌত করে। আর “তারপর নিষ্ঠার সাথে দু’রাকাত নামাজ আদায় করে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- নামাজে মনোযোগ, বিনয়, খুশু ও খুশূর সাথে আল্লাহর সামনে দাঁড়ায়।
এমনভাবে দাঁড়ায় যেন মুসল্লি আল্লাহকে দেখছে, আর না দেখলেও এটা মনে দৃঢ়তার সহিত স্থাপন করে নেয় যে, মহান আল্লাহ তাকে দেখছেন।
“তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়” এ কথার দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, সে ব্যক্তি যদি এই আমলসহ মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অনিবার্য করে দেবেন। এটি আল্লাহর অপার দয়ার নিদর্শন।
হাদিসটির মূল শিক্ষা:
ছোট হলেও আন্তরিক ইবাদতেরও অনেক ফজিলত আছে।
অজু ও নামাজ আত্মশুদ্ধির উপায়।
নফল ইবাদতের মাধ্যমেও জান্নাত লাভ সম্ভব হতে পারে।
এই হাদিস আমলকারীদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক এবং অলসদের জন্য সতর্কবার্তা।
আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।