গুয়াম কিলার সহ যেসব নতুন অস্ত্র সামনে আনল চীন

গুয়াম কিলার সহ যেসব নতুন অস্ত্র সামনে আনল চীন

3 September, 2025 | সময়: 2:45 pm

চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও নর্থ কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনসহ অন্তত দুই ডজন বিশ্বনেতার সামনে নিজেরদের অস্ত্র ভাণ্ডার প্রদর্শন করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এ সময় নিজেদের সংগ্রহে থাকা অস্ত্রের সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়া একাধিক পারমাণবিক আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), সহজে পরিবহনযোগ্যে ও হাইপারসনিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, নতুন লেজার অস্ত্র এবং ‘রোবট নেকড়ে’ ড্রোন উন্মোচন করা হয়।

তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায়, ডিএফ-৫সি, ডিএফ-২৬ডি এবং ডিএফ-৬১ আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। এগুলো চীনের পারমাণবিক ভাণ্ডারের সর্বশেষ সংযোজন।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফোরামের গবেষক আলেকজান্ডার নিলের মতে, চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট বাহিনীকে কৌশলগত প্রতিরোধের মূল অংশ হিসেবে গড়ে তুলছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর আধিপত্যের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি করা।

বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীই সবচেয়ে বড় ও আধুনিক। তাদের হাতে রয়েছে বিমানবাহী রণতরী ও ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ। তবে চীন এই দিক থেকে এখনও অনেকটা পিছিয়ে।

তাই তারা সে দুর্বলতা পেছনে ফেলতে উন্মোচন করলো ‘গুয়াম কিলার’ নামে পরিচিত আইসিবিএম ডিএফ–৬১। যা মার্কিন প্রধান নৌ-ঘাঁটি গুয়ামে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম।

এই অস্ত্র উন্মোচনের পর পশ্চিমা প্রতিরক্ষা মহলে এখন আলোচনা হচ্ছে, বিমানবাহী রণতরী ও স্ট্রাইক গ্রুপগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেকোনো চীনা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে মার্কিন জাহাজগুলো এখন অনেকটা ‘সিটিং ডাকস’ অর্থাৎ সহজ শিকার।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বেইজিং একদিকে যেমন বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইছে, অন্যদিকে দ্বিতীয় দফা পাল্টা হামলার সক্ষমতাও গড়ে তুলতে চাচ্ছে।’

সামরিক ভাষায় দ্বিতীয় দফা হামলা বা সেকেন্ড স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি মানে হলো—প্রথম আঘাতের পরেও শত্রুর বিরুদ্ধে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালানোর ক্ষমতা।

এছাড়া, বুধবারই চীন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল ওয়াইজে-১৭ ও হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ওয়াইজে-১৯ দেখিয়েছে।

উন্মোচন করেছে পানির নিচে থেকে আঘাত হানতে সক্ষম এমন বড় আকারের স্বয়ংক্রিয় ড্রোন এজেএক্স০০২, যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এছাড়া গোয়েন্দা কাজে ও মাইন খুঁজতে সক্ষম রোবটিক ‘নেকড়ে ড্রোন’ উন্মোচন করা হয়।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।