নামাজের জামাতে অজু ছুটে গেলে যা করবেন

জামাতে নামাজ পড়া অবস্থায় কোনো ব্যক্তির অজু ছুটে গেলে সম্ভব হলে তৎক্ষণাৎ অজুর জন্য বের হয়ে যাবেন।

আমাদের পেজে যুক্ত হোন

ইমামের নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকবেন না। সাহাবা-তাবেয়ীদের একাধিক আছার দ্বারা এ বিষয়টি প্রমাণিত।
যেমন আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, সে অজুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অজু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস : ৫৯৫০)

আমাদের চ্যানেল যুক্ত হোন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন

সালমান ফারেসী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কারো যদি নামাজে অজু ছুটে যায় তাহলে সে যেন বের হয়ে অজু করে আসে।

আমাদের গ্রুপে যুক্ত হোন

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস : ৫৯৫৪)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর নাক থেকে নামাজ অবস্থায় রক্ত বের হলে তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে আসতেন। (মুআত্তা মালেক, হাদিস : ৫০)

রাজশাহী দেশের সবচেয়ে সুন্দর নগরী: আলোচনায় বক্তারা

ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.) বলেছেন, নামাজ অবস্থায় যে ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হবে অথবা অজু ছুটে যাবে সে (মসজিদ থেকে) বের হয়ে যাবে এবং অজু করে আসবে। (কিতাবুল আছার ১/১৬২)

পাকিস্তানের টেক্সটাইল খাতে রপ্তানি বিপর্যয়

সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে এ ধরনের আরো বর্ণনা রয়েছে। এ সব বর্ণনা থেকে এ কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, নামাজে অজু ছুটে গেলে অজুর জন্য বের হয়ে যাবে।

অবশ্য মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কাতারের মাঝখান থেকে বের হওয়া সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও অজু ছুটে যাওয়ার পর লজ্জা, সংকোচ বা অন্য কোনো কারণে বিনা অজুতে ইমামের সঙ্গে রুকু সিজদা করতে থাকা ঠিক হবে না। কোনো নির্ভরযোগ্য কিতাবে এমনটি করার কথা পাওয়া যায়নি। প্রশ্নোক্ত কিতাবের ওই বক্তব্য ঠিক নয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এফআইডিএইচের সভাপতির আলোচনা

উৎস: আলকাউসার, ডিসেম্বর ২০১৪।