দেশের জন্য মন কাঁদছে মণীষার

দেশের জন্য মন কাঁদছে মণীষার

10 September, 2025 | সময়: 10:41 am

ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার।

এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম—জেনারেশন জেড। বিক্ষোভকারীদের উপর নৃশংস দমন-পীড়ন চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আন্দোলন মুহূর্তেই রূপ নেয় মৃত্যু মিছিলে। নিহত হন অন্তত ২১ জন তরুণ।

সোমবার কাঠমান্ডুতে সংসদ ভবনের সামনে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে অন্তত ২১ জন নিহত ও ২৫০ জনেরও বেশি আহত হন।

লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহারেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঠমান্ডু, বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, বুটওয়াল, পোখারা, ইটাহারি ও দামাকসহ বিভিন্ন প্রধান শহরে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী ওলির ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের মধ্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হয়।

তীব্র রাজনৈতিক চাপ এবং জনগণের ক্ষোভের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক প্রথমে নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। এরপর মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর পরামর্শ ও আন্দোলনের চাপে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়ান কেপি শর্মা ওলি।

নেপালের এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা। তিনি এক আবেগঘন পোস্টে লেখেন, “আজ নেপালের জন্য একটি কালো দিন। বন্দুকের জোরে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ন্যায় প্রয়োজন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার এই পরিণাম মেনে নেওয়া যায় না।”

তার শেয়ার করা রক্তাক্ত জুতার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের হৃদয়েও রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। অনেকেই এই সময়ে নেপালের সাধারণ মানুষের জন্য প্রার্থণা কামনা করেছেন।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।