দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কাশফুলের সাদার সমারোহ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কাশফুলের সাদার সমারোহ
শরৎ মানেই কাশফুলের সাদার সমারোহ। সেই শুভ্রতায় সেজেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ। উপজেলা ও পৌর এলাকার মাঠ-ঘাট, নদীর ধার, জমির আইল আর পুকুরপাড়ে কাশফুলের স্নিগ্ধতা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বীরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বলাকা রাইস মিলের পাশের পুকুরপাড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে কাশবাগান।
এলাকার ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণ এখন এই পুকুরপাড়। ধবধবে সাদা পালকের মতো নরম কাশফুল প্রকৃতিকে রূপকথার আবেশে ভরিয়ে তুলেছে।
ছয় ঋতুর বৈচিত্র্যময় বাংলায় শরতের আগমনকে জানান দেয় কাশফুল, যা আমাদের সংস্কৃতিতে সৌন্দর্য ও শান্তির প্রতীক। কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরমের মধ্যে ময়ূরের পালকের মতো কাশফুলের শোভা এনে দেয় নির্মল স্নিগ্ধতা।
বলাকা রাইস মিলের পাশে বেড়াতে আসা স্থানীয় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তন্না বলে, ‘অনেকদিন ধরে কাশফুল দেখতে চেয়েছিলাম। আজ এসে ভীষণ আনন্দিত। কিছু কাশফুল তুলে মায়ের জন্য নিয়ে যাব।’ তন্নার সহপাঠী ডলি বলে, ‘গত বছর আসতে না পারলেও এ বছর বন্ধুদের নিয়ে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহারও। ছন গোত্রীয় এ উদ্ভিদ গ্রামে জ্বালানি, ঝাড়ু ও ছাউনিতে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, এতে রয়েছে নানা ঔষধি গুণ, যা পিত্তথলির পাথর নির্মূলে ও ফোড়ার চিকিৎসায় কার্যকর।
স্থানীয়রা জানায়, একসময় বীরগঞ্জের নদীর ধারে, মাঠে-ঘাটে অসংখ্য কাশবন দেখা যেত। যদিও এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে, তবু উপজেলার সুজালপুর, নিজপাড়া, মরিচাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় এখনোা কাশফুলের নান্দনিক শোভা দেখা যায়।
বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, কবি ও গবেষক ড. এ কে এম মাসুদুল হক বলেন, ‘শরতের কাশফুল শুধু চোখের আরাম নয়, মানুষের মনে আনে প্রশান্তি এবং প্রকৃতির সঙ্গে এক নিবিড় বন্ধনের অনুভূতি। কিন্তু বর্তমানে এটি বিলুপ্তির পথে। তাই প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যকে টিকিয়ে রাখতে এর সংরক্ষণ জরুরি।’
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।