রুশ শোধনাগারে হামলা, দাম বাড়ার পর স্থিতিশীল তেলবাজার

রুশ শোধনাগারে হামলা, দাম বাড়ার পর স্থিতিশীল তেলবাজার

16 September, 2025 | সময়: 11:32 am

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এতেই আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। তবে মঙ্গলবার তেলের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথমদিকে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ৪ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৬৭.৪৮ ডলারে দাঁড়ায়, আর মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ২ সেন্ট বেড়ে ৬৩.৩২ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে সোমবার ব্রেন্টের দাম ৪৫ সেন্ট বেড়ে ৬৭.৪৪ ডলার এবং ডব্লিউটিআই-এর দাম ৬১ সেন্ট বেড়ে ৬৩.৩০ ডলারে স্থির হয়েছিল।
ইউক্রেন রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা তীব্র করেছে, যাতে মস্কোর যুদ্ধ সক্ষমতা দুর্বল হয়। আলোচনায় অগ্রগতি না থাকায় এই হামলা অব্যাহত রয়েছে।

তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে আইজি মার্কেট বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেছেন, রাশিয়া বৈশ্বিক তেল উৎপাদনের ১০% এর বেশি যোগান দেয়। এ কারণে সরবরাহ বিঘ্নের আশঙ্কা দাম বাড়াচ্ছে।

অন্যদিকে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সোমবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে না, যদি না ইউরোপীয় দেশগুলো চীন ও ভারতের ওপর একইভাবে উচ্চ শুল্ক বসায়।

বিনিয়োগকারীরা এখন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ১৬-১৭ সেপ্টেম্বরের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন। সেখানে সুদের হার কমার সম্ভাবনা প্রবল, যা জ্বালানির চাহিদা বাড়াতে পারে।

রুশ কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, রবিবার রাতে ইউক্রেন অন্তত ৩৬১টি ড্রোন বাবহার করে বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কিরিশি পরিশোধনাগারে আগুন লাগে। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল, যা রাশিয়ার মোট উৎপাদনের প্রায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

এর আগে ইউক্রেন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় রপ্তানি টার্মিনাল প্রিমোরস্কেও হামলা চালায়। প্রিমোরস্কের দৈনিক রপ্তানি সক্ষমতা প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল।

গত সপ্তাহে এসব হামলার কারণে জ্বালানি তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগানের বিশ্লেষক নাতাশা কানেভা বলেন, প্রিমোরস্কিতে হামলা বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে দামের ওপর উর্ধ্বমুখী চাপ তৈরি হতে পারে।

টনি সাইকামোর বলেন, ফেডারেল রিজার্ভের সুদ কমানোর প্রত্যাশায় ডলার দুর্বল হয়েছে। আর দুর্বল ডলার তেলের দামকে বাড়তি সহায়তা দিয়েছে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।