নেপালে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান কার্কি

নেপালে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান কার্কি

17 September, 2025 | সময়: 2:15 pm

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার গণমাধ্যমে মুখ খুললেন সুশীলা কার্কি। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, দুর্নীতি তদন্ত, জেন জি আন্দোলনের সময়কার সহিংসতার বিচার ও মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কার্কি জানান, আগামী বছরের ৫ মার্চ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা বড় চ্যালেঞ্জ হবে তা স্বীকার করে কার্কি বলেন, ‘আমি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করব।

ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব। আমি দায়িত্ব শেষ করে নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে সরে যেতে চাই।’
দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই ১০-১১ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করব।

দুর্নীতির রূপ ও আকার বুঝতে তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্ত ছাড়া এই জাতি শান্তি পাবে না। আমরা এ কাজ শুরু করব, পরবর্তী সরকার সেটি এগিয়ে নেবে।’
জেন জি আন্দোলনের সময় সম্পত্তি ও প্রাণহানির ঘটনাগুলোর তদন্তে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিশন করছে সরকার।

কার্কি বলেন, ‘আমাদের হাতে ছয় মাস সময়। ওই তদন্ত এক মাস, সর্বোচ্চ দেড় মাসে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে কারকি স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দলীয় নেতাদের তিনি অন্তর্ভুক্ত করবেন না।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধি নিতে। কিন্তু আমি চাই স্বতন্ত্র, অরাজনৈতিক মানুষদের।

আদিবাসী, দলিত, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণি থেকে সদস্য আনতে চাই। নির্বাচনের আগে যেন মন্ত্রিসভা রাজনৈতিক সুবিধা না নেয়, সেটিই মূল লক্ষ্য।’
জেন জি আন্দোলনের একটি অংশ ইতিমধ্যেই নতুন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কারকি বলেন, ‘আমরা তো পদ চাইনি। ছাত্রদের হত্যার পর আমরা মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে দুর্নীতি আর সুশাসনের অভাব দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সব দাবি হয়তো পূরণ করতে পারব না, তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।