আমেরিকায় গোল্ড এবং প্ল্যাটিনাম ভিসা চালু করলেন ট্রাম্প

আমেরিকায় গোল্ড এবং প্ল্যাটিনাম ভিসা চালু করলেন ট্রাম্প
আমেরিকায় গোল্ড এবং প্ল্যাটিনাম ভিসা চালু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই সংক্রান্ত নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
নির্দেশনামা অনুসারে, আমেরিকায় বসবাসে ইচ্ছুক কোনও ব্যক্তি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (১১ কোটি ২০ লাখ টাকারও বেশি) খরচ করলে ট্রাম্প ‘গোল্ড কার্ড’ পেতে পারেন।
কোনও কর্মীর দ্রুত ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মার্কিন সংস্থাগুলিও ২০ লাখ ডলার ( সাড়ে ২২ ১৭ কোটি টাকার বেশি) খরচ করতে পারে।
নির্দেশনামায় স্বাক্ষরের পরে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় এটা দারুণ সফল হতে চলেছে। এটা কয়েক কোটি ডলার আনতে যাচ্ছে। এর ফলে (আমেরিকানদের) কর কমবে, ভালো কাজ হবে।
পরে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার করদাতারা বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে লাভবান হতে চলেছেন।গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার তার সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করলেন ।
এতদিন আমেরিকায় বসবাস করার জন্য অ-অভিবাসীরা ‘গ্রিন কার্ড’-এর জন্য আবেদন করতে পারতেন। গ্রিন কার্ডের সঙ্গে ‘গোল্ড কার্ড’-এর কী ফারাক, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক।
তিনি জানান, ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রকল্প তৈরিই করা হয়েছে বিদেশের এমন কিছু দুর্দান্ত মেধাসম্পন্ন মানুষের জন্য, যারা আমেরিকায় নতুন কাজ এবং বাণিজ্যের পরিসর তৈরি করবেন।
একইসঙ্গে লুটনিক জানান, ‘গ্রিন কার্ড’ যারা পাবেন, তারা বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পদে থাকবেন। তারা আমেরিকার নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করবেন, কাজ কেড়ে নেবেন না বলেও দাবি করেছেন লুটনিক।
আরও পড়ুন: নারীদের ‘টাটকা মাংস’ বলা সেই চিকিৎসকের জেল আমেরিকায় ‘প্ল্যাটিনাম কার্ড’ পেতে খরচ করতে হবে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (৬১ কোটি টাকারও বেশি)। এই ভিসা পেলে একজন অভিবাসী বছরে ২৭০ দিন আমেরিকায় থাকতে পারবেন।
তা ছাড়া তাকে উপার্জিত অর্থের জন্য মার্কিন প্রশাসনকে কোনও করও দিতে হবে না। যদিও লুটনিক জানিয়েছেন, ‘প্ল্যাটিনাম কার্ড’ চালু করতে মার্কিন আইনসভার অনুমোদন লাগবে। সেই অনুমোদন চলতি বছরের শেষেই মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবারই ট্রাম্প আরও একটি নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেন। তাতে বলা হয়েছে, এবার থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির কাছ থেকে বছরে এক লাখ ডলার (১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি) করে নেবে সরকার। ‘এইচ-১বি’ ভিসা একটি অ-অভিবাসী ভিসা।
এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থার হয়ে কাজ করেন। ট্রাম্প সরাসরি এই উপায় বন্ধ করে দিচ্ছেন না।
তবে এমন মোটা অঙ্কের রাজস্ব তিনি ধার্য করলেন, যাতে এই ধরনের কর্মীদের আর নিয়োগ করতে চাইবে না কোনও সংস্থা।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।