ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে আগুন, ৮টি দোকান পুড়ে ছাই ক্ষতি অর্ধ কোটি

ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে আগুন, ৮টি দোকান পুড়ে ছাই ক্ষতি অর্ধ কোটি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে শর্ট সার্কিট এর আগুনে পুড়ে ছাই ৮টি দোকান সহ মালাপত্র।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ভোর সারে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার রোড বাজারে বৈদ্যুতিক তারের শর্ট-সার্কিট থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রথমে আগুনের ফুলকি আর ধোয়া দেখতে পায় এক রিকশা চালক পরে ফায়ারসার্ভিসে কল দিলে ২ টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে মুদিখানা দোকান, টেইলর্স, ইলেক্ট্রিক দোকান, জুতার দোকান, গোডাউন সহ মোট ৮টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দোকান মালিকা জানান, দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে জুতার দোকানগুলোতে নতুন নতুন জুতার কালেকশন করা হয়েছিল এখন সেগুলো আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। টেইলার্সের দোকানে ও নতুন জামা সেলাই করতে দিয়েছিলো অনেকে সে গুলোও আগুনে পুরে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনের লেলিহান শিখা থেকে মুক্তি পাইনি মুদিখানা দোকানের কোন মালাপত্র পুড়ে ছাই হয়েগেছে চাল, ডাল, তেল, আটা ময়দা সহ সাবান থেকে শুরু করে সব কিছুই,সেই সাথে গোডাউনে যা মাল ছিল তাও শেষ এখন আমরা পথে নেমে গেছি আমাদের আর কিছুই রইলো না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক রিকশাচালক বৈদ্যুতিক পিলারে আগুনের ফুলকি দেখতে পায় এবং দোকান গুলো থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে ৯৯৯ এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই রোড বাজারে পানির কোন রির্জাভার না থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অনেক বেগ পেতে হয়েছিল।
পরে অনেকের সহযোগিতায় দূরের নদী থেকে তাদের পানি এনে আগুন নেভাতে হয়েছে আমরা চাই এই বাজারে একটি পানি রিজার্ভারে ব্যবস্থা করা হোক। এখানে অনেক দোকান রয়েছে ঘনবসতি এলাকা। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক জানান, আমরা সকালে খবর পেয়ে সাথে সাথে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায়। আমরা এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমাদের গাড়িতে থাকা পানি দিয়েই আমরা আগুন নির্বাপন শুরু করি।
যেহেতু ঘন বসতি এলাকা এবং পাকা-আধাপাকা অনেকগুলো দোকান পাশাপাশি। এবং এই দোকানের পণ্যগুলো দ্রায্য পদার্থ হওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টাই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হই। তবে এখানে পানির রিজার্ভার না থাকার কারণে আমাদের বেগ পেতে হয়েছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, এই বাজারে কোন পানির রিজার্ভার নেই এবং আশপাশেও কোন পুকুর বা নদী নেই অনেক দূরে যার কারণে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা শীঘ্রই এই ঝুঁকিপূর্ণ বাজারগুলোতে পানির রিজার্ভারের ব্যবস্থা করব। এবং এই ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর তালিকা করে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।