রাডার ফাঁকি দিয়ে আক্রমণে সক্ষম চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমান, দাবি ডিজাইনারের

রাডার ফাঁকি দিয়ে আক্রমণে সক্ষম চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমান, দাবি ডিজাইনারের
চীনের অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান জে-২০ সহজেই শত্রুপক্ষের রাডার ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন ছেংতু এয়ারক্রাফ্ট ডিজাইন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি চিফ ডিজাইনার কং ফেং। তিনি বলেন, জে-২০-এর রাডার ও ইনফ্রারেড সিগন্যাল এতটাই ভালো যে এটি সুঁচের মতো শত্রুর প্রতিরক্ষা জালের ভেতর দিয়ে ঢুকে যেতে পারে।
তিনি জানান, এই যুদ্ধবিমান শুধু গোপনীয়তা নয়, শক্তিশালী যুদ্ধসক্ষমতাও বহন করে। এর দীর্ঘ উড্ডয়ন পরিসীমা, উন্নত রাডার ও দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার ফলে এটি অনেক দূর থেকেও শত্রু টার্গেট শনাক্ত ও আক্রমণ করতে পারে।
জে-২০ বিমানে ব্যবহৃত সেন্সরগুলো একসঙ্গে কাজ করে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে আরো বেশি সক্ষম। এ ছাড়া এটি প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ বিমান এবং ড্রোনের সঙ্গে মিলে একটি সমন্বিত যুদ্ধব্যবস্থাও গড়ে তুলতে পারে।
গং বলেন, এই বিমান শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, আক্রমণাত্মক অভিযানে ব্যবহারের উপযুক্ত। এর একক ও যৌথ যুদ্ধক্ষমতা বিমানবাহিনীর কৌশলে নতুন ধারা এনেছে।
জে-২০-এর আকৃতি ও নকশাও আন্তর্জাতিক মানের। এতে ‘ফোরপ্লেন’ কনফিগারেশন রয়েছে, যা বিমানটির গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা বাড়ায়।
মাইটি ড্রাগন নামে পরিচিত এই বিমানটি প্রথম ২০১৬ সালে চীনেরচুহাই এয়ার শো-তে প্রকাশ্যে আসে এবং একই বছর দেশটির বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়। এটি বিশ্বের তৃতীয় স্টিলথ ফাইটার, মার্কিন এফ-২২ ও এফ-৩৫-এর পরেই।
বর্তমানে জে-২০-এর তিনটি সংস্করণ রয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত একটি সামরিক কুচকাওয়াজে এই তিন ধরনের যুদ্ধবিমানই অংশ নেয়।
সূত্র : চায়না ডেইলি
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।