রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

23 September, 2025 | সময়: 1:37 pm

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো চলেছে। পোষ্য কোটাকে ঘিরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন, ফলে পুরো ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

সকাল থেকে প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে চেয়ার পেতে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেশিরভাগ দপ্তরে তালা ঝুললেও কিছু অফিস খোলা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়–২৪ হলে গিয়ে দেখা যায়, কিছু কর্মকর্তা তাদের নিয়মিত কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী আসলেও সার্বিকভাবে ক্যাম্পাস ফাঁকা ছিল।

ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বলেন, “২০ সেপ্টেম্বর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ অনেককে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই আমরা কর্মবিরতিতে গেছি। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না হবে, ততদিন কর্মসূচি চলবে।”

একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আবু মো. তারেকও একই দাবি জানিয়ে বলেন, “আমাদের উপ-উপাচার্য লাঞ্ছিত হয়েছেন। সঠিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরব না।”

এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর। প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে পুনর্বহালের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি ঘটে। এর জের ধরে রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করেন এবং সোমবার থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম ২১ সেপ্টেম্বর রাতে এক সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। একই রাতে অফিসার সমিতিও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায়। পরে আবারও জাতীয়তাবাদী শিক্ষকেরা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেল ৫টায় রাকসু নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেয়। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।