২য় দিনের মতো রাজশাহী-ঢাকা চলছে বাস ধর্মঘট, বিপাকে দূরপাল্লার যাত্রী

২য় দিনের মতো রাজশাহী-ঢাকা চলছে বাস ধর্মঘট, বিপাকে দূরপাল্লার যাত্রী

23 September, 2025 | সময়: 2:24 pm

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন বাসের শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার ভোর থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। যা আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত আছে। এনিয়ে দুইবারের মতো কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। এর আগে টানা ৩৯ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছিল শ্রমিকরা। সে সময় মালিকদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাসে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়।

সোমবার ভোর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস, হানিফ, হানিফ কেটিসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। শুধু মাত্র চলাচল করছে একতা ট্রান্সপোর্ট। এছাড়াও কিছু লোকাল বাস চলছে এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

শ্রমিকেরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে একজন চালককে পারিশ্রমিক হিসেবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ এবং হেলপারকে ৫৩০ টাকা দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে একতা ছাড়া অন্য পরিবহনের শ্রমিকদের কোনো পারিশ্রমিক বাড়েনি। তাই পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিতে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বাস চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। তখন তাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই শ্রমিকেরা আবার অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ১৭ বছর ধরে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। প্রতিবার মালিক পক্ষ আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছু হয় না। তাই এবার সব শ্রমিক একসঙ্গে আন্দোলনে নেমেছি। শ্রমিক নেতা মো. সেলিম বলেন, ১৭ বছর ধরে বেতন বাড়েনি। প্রতিবার মালিক পক্ষ শুধু আশ্বাস দেয়, বাস্তবে কিছু হয় না। এবার দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। হয় বেতন বাড়বে না হয় গাড়ির চাকা গড়বে না।

রাজশাহী পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, আমরা বারবার মালিক পক্ষের সঙ্গে বসেছি। সর্বশেষ তারা আশ্বাস দিয়েছিল; কিন্তু সেটির বাস্তব প্রয়োগ না হয় শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছে। তিনি বলেন, রাজশাহী ঢাকাকে আমি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে একতা পরিবহন চালু রয়েছে। আমরা বলেছি কেউ যদি স্বেচ্ছায় গাড়ি চালাতে চায় তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। শ্রমিকটা শ্রমিকদের আন্দোলন করবে। তাদের দাবিতে পূরণ হলে তবেই গাড়ি চালাচ্ছ শুরু হবে।

এদিকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে একতা পরিবহন ও কিছু লোকাল বাস চলায় সেখানে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনের টিকিট মিলছেও না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। ঢাকাগামী যাত্রী ইমরান বলেন, টিকিট আগে কেটে রেখেছিলাম; কিন্তু এসে দেখি কাউন্টার বন্ধ। জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হবে, অথচ কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আরেক যাত্রী নাসিমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন ঘুরেও টিকিট পাইনি। শিশু সন্তান নিয়ে পথে পথে হয়রানি পোহাচ্ছি। এভাবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক নয়।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।