পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প

25 September, 2025 | সময়: 2:12 pm

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।

গতকাল বুধবার রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের উষ্ণতা বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের দিকে ঝুঁকেছিল, তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই সমীকরণে পরিবর্তন এসেছে।

তবে গতকাল মঙ্গলবার শেহবাজ শরিফ ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন। যেখানে মুসলিম-অধ্যুষিত কয়েকটি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা এবং সম্ভাব্য শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদে ভিসা নীতি, ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আর গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছেন ট্রাম্প, এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনে পড়েছে। ৩১ জুলাই ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করে। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তবে এখনো ভারতের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে পাকিস্তান ইতিমধ্যে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন সমর্থন করেছে, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টার জন্য। যদিও ইসলামাবাদ গাজা উপত্যকায় মার্কিন মিত্র ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের পর ভারত এখন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসে সচেষ্ট, যেন বিকল্প কৌশল তৈরি থাকে। এ বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে স্বাগত জানান। এটি ছিল প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে এককভাবে (রাজনীতিক নেতাদের ছাড়াই) হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম থেকে শুরু করে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। অনেক ইস্যুতে আমরা কাজ করছি। প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক স্বার্থ অগ্রগামী করা, যার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সরকার ও নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগও রয়েছে।’ ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রাম্প সবসময় খোলামেলা থাকতে পছন্দ করেন এবং কিছু হতাশা থাকলেও ওয়াশিংটন দিল্লিকে ‘ভালো বন্ধু ও অংশীদার’ হিসেবে দেখে। কর্মকর্তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে তাদের সম্পর্কই ২১ শতকের ধারা নির্ধারণ করবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত কোয়াড জোটের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ভারত নভেম্বর মাসে এ সম্মেলনের আয়োজন করতে পারে, অথবা এ বছর সম্ভব না হলে আগামী বছরের শুরুতে তা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র : রয়টার্স

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।