রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর দূরপাল্লার বাস বন্ধ

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর দূরপাল্লার বাস বন্ধ
৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্তও বাস চলতে দেখা যায়নি। এতে তিন জেলার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শুক্রবার থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে আসা যাত্রীরা শিরোইল ও অন্যান্য বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ বিকল্প পরিবহন ধরে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন, আবার কারও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ট্রেনের টিকিটও মেলেনি বলে জানান অনেকে।
যাত্রী গোলাম মোস্তফা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকাগামী বাস সরাসরি পাওয়া যাচ্ছে না। লোকাল একটি বাসে টিকিট নিতে হয়েছে। মালিক-শ্রমিকের দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে হঠাৎ বাস বন্ধ করে দেবে কেন?’
বাসমালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের বক্তব্যে জানা গেছে, বেতন-ভাতা ও খোরাকি নিয়ে বিরোধ থেকেই এই অচলাবস্থা। এর আগে চলতি মাসে বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা দু’দিন ধর্মঘট করেছিলেন। পরে মালিকদের আশ্বাসে বাস চলাচল শুরু হলেও আশানুরূপ সমাধান হয়নি।
উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম জানান, খোরাকি ভাতা দেওয়া নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই মালিকরা বাস বন্ধ রেখেছেন।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকরা দূরপাল্লার বাস যেখানে-সেখানে থামিয়ে যাত্রী তুলতে চান এবং খোরাকি ভাতা দাবি করেন। এতে ব্যবসা টিকছে না। তাই আমরাও আপাতত বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অন্যদিকে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘চালকদের পারিশ্রমিক আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা ছিল, সেটি বাড়ানো হলেও মালিকপক্ষ তা দিতে চাইছে না।’
ফলে তিন জেলায় দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ কবে কাটবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।