কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আমন ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রকার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি পচনা রোগও দেখা দিয়েছে।
শীষ বের হওয়ার মূহুর্তে মাজরা পোকা শীষের গোড়ায় কেটে দেওয়ায় সাবার হয়ে যাচ্ছে আমন ক্ষেত। কিছু কিছু ক্ষেতে পচনা রোগ ধরায়, ধান মাটিতে নেতিয়ে পড়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোদালধোয়া, কয়ারপাড়া, নাপিতপাড়া, থানাহাট ইউনিয়নের চাচলার বিল, শিংরিয়া, পেদি খাওয়া, মাইলডাঙ্গা, বওলার বিল, রমনা ইউনিয়নের হন্যের বিল, পাত্রখাতা ও খরখরিয়া এলাকায় মাজরা পোকা ও পচনা রোগের আক্রমন দেখা দেয়।
থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকার জহরুল হক বলেন, এবারে তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করেছি। ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দেওয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শে কুড়েনক্স ও কোরাজেন কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে ক্ষেতে স্প্রে করেও কোন ফলাফল পায়নি।
আমন ক্ষেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বালাবাড়ীহাট এলাকার কৃষক শিপুল মিয়া বলেন, দুই বিঘা জমিতে আমন চারা রোপন করেছি। শীষ বের হওয়ার মুহুর্তে মাজরা পোকার আক্রমন ও পচনা রোগ দেখা দিয়েছে, কীটটনাশক প্রয়োগ করেও দমন করা যাচ্ছে না।
ক্ষেতগুলো দিন দিন মাটিতে নুইয়ে পড়ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, কৃষককে কুড়েনক্স ও কোরাজেন কীটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করছি।
এ উপজেলায় এবারে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।