নাটোরের গুরুদাসপুরে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয় শ্রেণিকক্ষ

নাটোরের গুরুদাসপুরে হাঁটুপানি পেরিয়ে যেতে হয় শ্রেণিকক্ষ
শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে সাঁতার কাটছে হাঁস। বড় হচ্ছে কচুরিপানা। হাঁটুপানিতে মাঠ পেরিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এমন দৃশ্য নাটোরের গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা খাকড়াদহ দাখিল মাদরাসার সামনে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে মাদরাসাটিতে দেখা যায়, ছাদ ফেটে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভবন। মাঠ নিচু হওয়ায় ফটকের নিচে মাঠের পানি চলে এসেছে। টিনশেডের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ মাঠের পানি ঢুকে পড়ায় তা পরিত্যক্ত।
কোথাও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই। অতিকষ্টে শহীদ মিনার ঘেঁষে কয়েকটি সাইকেল ও মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধ মাঠের উঁচুতে জাতীয় পতাকা টানানো, পাশেই রয়েছে মাদরাসার সিঁড়ি। কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না।
পানির ওপর বস্তার স্তূপ সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কাদা পা নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বারান্দা ও শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষকরা জানান, ১৯৭৬ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর তাতে আর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে।
শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না তারা। বর্ষাকাল এলেই বৃষ্টির পানিতে মাঠজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মাদরাসায় আগতরা।
মাদরাসার শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া ও তন্নি আক্তার জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে। ফলে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হতে পারে না তারা। জলাবদ্ধতার কারণে মাদরাসার শ্রেণিকক্ষেই আটকা থাকতে হয়। তারা জানায়, মাঠের ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চারপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে মশা-মাছি বংশবিস্তার করছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়েও তারা চিন্তিত। অনেকে চর্মরোগ ও অ্যালার্জিতে ভুগছে। দ্রুত মাদরাসার মাঠে মাটি ভরাট করে সংস্কারের দাবি জানায় এ দুই শিক্ষার্থী।
মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট ওসমান গনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পাশের সড়ক ও বাড়িঘরের পানি এসে মাদরাসার মাঠে জমে। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। মাদরাসার মাঠ উঁচু করা না হলে ভোগান্তি আরো বেড়ে যাবে। ভারি বৃষ্টি হলে মাঠের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয় বলে জানান তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আকতার বলেন, মাদরাসা মাঠটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।