গাইবান্ধায় নেসকোর প্রিপেইড মিটার সংযোগ চলছে

গাইবান্ধায় নেসকোর প্রিপেইড মিটার সংযোগ চলছে
গাইবান্ধায় গ্রাহকদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীদের গোয়ার্তুমিতে ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই প্রিপেইড মিটারে চরম গ্রাহক ভোগান্তি বেড়েছে। হাজার টাকা রিচার্জে তাৎক্ষণিক কেটে নেয়া হচ্ছে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা। কোন খাতে কত টাকা কাটা হচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও জানেন না গ্রাহকরা। এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকোর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলীরা। ফলে গ্রাহকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাবাড়ি গ্রামের রমিজ উদ্দিন জানান, প্রিপেইড মিটারে এক হাজার টাকা রিচার্জ করলে সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ কেটে নেয়া হয় আড়াইশ টাকা। তারপর মাত্র তিন-চারদিন বিদ্যুৎ ব্যবহারেই টাকা শেষ হয়ে যায়। একই বিদ্যুৎ ব্যবহারে আগে পোস্ট পেইড মিটারে এক মাসে তার বিল আসতো ৮শ থেকে ৯শ টাকা, এখন তাকে মাসে আড়াই হাজার টাকা রিচার্জ করতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন শহরের পলাশপাড়ার গৃহিণী লাবনী রাণী। আগে তার মাসিক বিল আসতো ৭শ টাকা আর এখন প্রিপেইড মিটারে ৫শ টাকা করে চারবার রিচার্জ করতে হয়।
রমিজ উদ্দিন ও লাবনী রাণীর মতো এমন অস্বাভাবিক বিলের কবলে পড়ছেন গাইবান্ধার হাজার হাজার মানুষ। যেসব এলাকায় প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে, সেসব এলাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল কাটার অভিযোগ গ্রাহকদের। আপত্তি আছে ডিমান্ড চার্জ নিয়েও।
গ্রাহকদের অভিযোগ, একদিকে টাকা রিচার্জ করলে অন্যদিক দিয়ে শেষ হয়ে যায়। হাজার টাকা রিচার্জ করলে সাড়ে ৬শ থেকে ৭শ টাকা মিটারে যোগ হয়। বাকি টাকা হাওয়া হয়ে যায়। নানান রকম চার্জ কাটা হলেও বেশিরভাগের মানেই জানেন না গ্রাহকরা। সার্বিক বিষয়ে গাইবান্ধা নেসকো-১ ও নেসকো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা বলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে চরম খামখেয়ালি আচরণ করছে নেসকো। গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহবান জানান তিনি।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।