ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিমতীর দখলের বিল পাস
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে পশ্চিমতীর দখলের বিল পাস
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলের দুই এলাকা জুদেয়া ও সামারিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে বিল পাস হয়েছে-সেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি’ বলে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ওয়াশিংটন থেকে বুধবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রুবিও। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা (ইসরায়েল) নেসেটে একটি বিল পাস করেছে, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে আমাদের পক্ষ থেকে এই বিলকে কোনো সমর্থন দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস
কারণ আমরা মনে করি, এই বিলটিকে গাজায় শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছি।
রুবিও আরও বলেন, “বিলটি গণতান্ত্রিক প্রকিয়াতেই আনা হয়েছে— এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গণতন্ত্রে জনগণ ভোট দেয়, পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন হয় এবং এমপিদের ভোটের ভিত্তিতে সেই বিল পাসও হয়…তবে এই মুহূর্তে এ ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করা হলে তার ফলাফল হবে উল্টো।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় জুদেয়া ও সামারিয়া দখল করেছিল ইসরায়েল। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরের এই দুই ভূখণ্ড ইসরায়েলের দখলেই আছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, বুধবার বিলটি উত্থাপনের পর ১২০ আসনের নেসেটে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২৫টি, বিপক্ষে ২৪টি। বাকি ৫১ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় সাফল্য পেলেও যে কারণে ইউক্রেন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাম্প
আরও জানা গেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টির এমপিরা বিলটির বিরোধিতা করেছেন। তবে লিকুদ পার্টির নেৃতত্বাধীন জোট সরকারের কয়েক জন শরিক বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস সে পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজা।
যুদ্ধবিরতির পর থেকে কয়েকটি বিমান হামলা ছাড়া এখন পর্যন্ত গাজায় বড় ধরনের কোনো গন্ডগোল বা সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।