আদিবাসী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিরলের আনসার কমান্ডার

আদিবাসী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিরলের আনসার কমান্ডার

1 November, 2025 | সময়: 3:26 pm

স্টাফ রিপোর্টার : প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার কমল চন্দ্র সরকার। নিজের কাজ শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সমাজে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠির শিশু-কিশোদের লেখা-পড়া করিয়ে বেশ আলোড়ণ সৃষ্ঠি করেছেন কমল চন্দ্র। তাকে সহযোগিতা করছে তার সহধর্মিনী লতা রানী। তিনি ২০২৩ সালে বিনা মূল্যে এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে পড়া শোনা করিয়ে আসছেন। লেখা-পড়ার পাশা-পাশি আগামীর জীবনে কিভাবে চলতে হবে এবং অল্প বয়সে বাল্য বিবাহ রোধে পরিবার ও এসব শিক্ষার্থীকে সচেতনতা মূলক পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই দম্পত্তি।

Ad1st বিজ্ঞাপন

দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ধর্মপুর ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রাম। ওই ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার কমল চন্দ্র সরকার আদিবাসী শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন একটি পাঠশালা। প্রতিদিন কাজ শেষে সন্ধ্যা ও অবসর দিন গুলোতে তিনি ও তার স্ত্রী লতা রানী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিশু-কিশোরদের মাঝে। সমাজে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠিকে আর দশজন শিশুদের মত গড়ে তুলতেই তাদের এই প্রচেষ্ঠা। এমন মানবিক দৃষ্টান্ত ইতি মধ্যেই সবার নজর কেড়েছে।

ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার কমল চন্দ্র সরকার বলেন, ২০১২ সালে আনসারের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কমল চন্দ্র সরকার এবং আনসার সদস্য হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে, চাকরির পাশা-পাশি সমাজে অবহেলিত ও বঞ্চিত সাঁওতাল ও আদিবাসী শিশুদের দুরবস্থা তাকে গভীর ভাবে নাড়া দেয়। তিনি উপলব্ধি করেন আদিবাসী শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হলেই এই শিশুরা সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।

সেই ভাবনা থেকেই এক সময় তিনি চাকরি ছেড়ে নিজের বাড়িতেই বিনা মূল্যে আদিবাসী শিশুদের পাঠদানের উদ্যোগ নেন। ২০২৩ সাল হতে ২২ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিশুকে নিয়ে তার বাড়িতে সান্ধকালীন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, তিনি শিশুদের সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার দিকে ও সমান ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যার কারনে বাল্য বিবাহ অনেকটাই কমে এসেছে তার এলাকার এই পরিবার গুলোতে।

একজন সচেতন আনসার ভিডিপি সদস্য হিসেবে কমল চন্দ্র সরকার তার এই উদ্যোগকে সমাজের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন বলে মনে করেন।

আদিবাসী শিশুদের পরিবার এ সময়ে বাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং কমল চন্দ্রের এই মানবিক কর্মকাণ্ডকে তাদের বাচ্চাদের জিবনে নতুন আশার আলো হিসেবে দেখছে।

সরকারী বেসরকারী পৃষ্টপোষোকতা পেলে এমন মানুষ গুলো সমাজের জন্য আরে াঅগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।