সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরী: পরিবেশ উপদেষ্টা
সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরী: পরিবেশ উপদেষ্টা
টেকসই ও বাসযোগ্য নগর গড়ে তুলতে, সরকারি ভবনগুলোতে গ্রীন বিল্ডিং বাধ্যতামূলক করা জরুরী। সরকারি স্থাপনাগুলোতে মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারলে, বেসরকারি খাতও তা অনুসরণ করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আজ আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘গ্রীন বিল্ডিং বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, শুধু রঙ বা সার্টিফিকেশন দিয়ে ‘গ্রীন বিল্ডিং’ হবে না। এতে পরিকল্পনা, নকশা, নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ-সব ধাপে পরিবেশবান্ধব ধারণা ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় তিনি ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক আলো ও বায়ুপ্রবাহ ব্যবহারের মতো নীতিমালা স্থাপনায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার খাল ও নদী রক্ষা, বর্জ্য ও শব্দ-দূষণ কমানো ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ নগর পরিবেশের উন্নয়নে সাসটেইনেবল বিল্ডিং অপরিহার্য।
উপদেষ্টা এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এইচবিআরআই), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করেন।
এ কাউন্সিল গ্রীন বিল্ডিংয়ের মানদণ্ড নির্ধারণ, আইন হালনাগাদ এবং বাস্তবায়ন তদারকিতে ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন— পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক, পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বুশরা নিশাত, এইচবিআরআই-এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. নাফিজুর রহমান ও স্থপতি রফিক আজমসহ প্রকৌশলী, স্থপতি, গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।