দেবীগঞ্জ উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন
দেবীগঞ্জ উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলন
দেবীগঞ্জ সংবাদদাতা : এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলায়। উপজেলার দশ ইউনিয়নের ফসলের মাঠজুড়ে এখন শুধু ধান আর ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দাম পেলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার ২৩ হাজার ৯৩৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আর গত বছর চাষ হয়েছিল ২৩ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। এবার বেশি আবাদ হয়েছে ২৪ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ৯৮৮ হেক্টর জমির আমন ধান কাটা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন জাতের আমনের মধ্যে উফশি ১৮হাজার ৪৩৪ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে মাঠের ধান কাটা শেষ হবে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৭ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন।
উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের কাদেরের মোড় গ্রামের কৃষক হৃদয় বলেন, ‘এবার বর্ষার প্রথম দিকে আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিন দিয়ে তিন বিঘা জমিতে ধান রোপণ করি। পরে আল্লাহর রহমতে অনেক বৃষ্টি নামায় আরও তিন বিঘা জমিতে ধান লাগাই। সব জমিতে উফসি জাতের রোপা আমন চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভালোই হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পেলে গত দুই বছরের ধকল কাটিয়ে ওঠা যাবে।’
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে সোনাহার ইউনিয়নের চাষি সবুজ বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে আকাশের পানির অভাব ছিল। প্রথম দিকে স্যালো মেশিনের পানি দিয়ে হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। এরপরে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। ধান আবাদে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। ধানের ফলনও বাম্পার হয়েছে। আশা করি, বিঘায় ১৬ থেকে ১৭ মণ ধান হবে। শুনছি, বাজারে নাকি দামও ভালো। এবার খরচ বাদে লাভও হবে।’
দন্ডপাল ইউনিয়নের ডাকাইয়া পাড়ার ফজলু বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষায় আকাশের পানিতে ১০ থেকে ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাই। এবার বর্ষার শুরুতে প্রচ- খরার কারণে শ্যালো মেশিন চালিয়ে ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। দু-একটি সেচও দিয়েছি। পরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নামে। ওই বৃষ্টির পানি দিয়ে ধান লাগানো শেষ করি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সব ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারবো। বাজার দর ভালো থাকলে লাভবান হতে পারবো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাইম মোর্শেদ জানান, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কর্মকর্তারা উঠান বৈঠক করে ধানের রোগবালাই দমনসহ সঠিক সময়ে কাটার পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।