ফেসবুক আইডি হ্যাকড হলে উদ্ধার করবেন যেভাবে

ফেসবুক আইডি হ্যাকড হলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে হ্যাকিংয়ের ঘটনা। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হারিয়ে বিপাকে পড়ছেন। কেউ হয়তো নিজের প্রিয়জনদের কাছে বিব্রত হচ্ছেন আবার কেউ অর্থনৈতিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তবে হ্যাকড হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি, যা অনুসরণ করলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
হ্যাক হলে যা করবেন—
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছে মনে হলে প্রথমেই পাসওয়ার্ড রিসেট করার চেষ্টা করতে হবে।ফেসবুক ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ফরগেট পাসওয়ার্ড?’ অপশনটি নির্বাচন করে, নিজের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি বা ইউজারনেম দিয়ে অ্যাকাউন্টটি শনাক্ত করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠানো কোড ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড রিসেট করা সম্ভব।
তবে অনেক সময় হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর সেটির সঙ্গে সংযুক্ত ইমেইল কিংবা ফোন নম্বরটি পরিবর্তন করে ফেলেন।
সে ক্ষেত্রে সাধারণ পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড রিসেট করা যায় না। তখন ব্যবহারকারীকে সরাসরি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় যে, অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে। এর জন্য যেতে হবে www.facebook.com/hacked ঠিকানায়। সেখানে গিয়ে ‘My Account is Compromised’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
এরপর অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করার জন্য পুরনো ইমেইল, ফোন নম্বর কিংবা ইউজারনেম প্রদান করতে হয়। নির্দিষ্ট ক্যাপচা পূরণ করার পর ফেসবুকের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক কিছু প্রশ্ন করা হবে। পুরনো পাসওয়ার্ড, বন্ধুর নাম, পূর্ববর্তী পোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রমাণ করতে পারলে, ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয়।
হ্যাকড অ্যাকাউন্ট থেকে সাধারণত হ্যাকাররা বন্ধুবান্ধবদের কাছে আপত্তিকর বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে থাকে। কখনো আবার পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে প্রতারণার চেষ্টা চালায়।
কেউ কেউ অযাচিত স্প্যাম লিংক ছড়িয়ে দেয়, যা অন্যদের অ্যাকাউন্টকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তাই এক্ষেত্রে জরুরি বিষয় হলো, যত দ্রুত সম্ভব বন্ধুদের জানিয়ে দেওয়া—আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাকড হয়েছে এবং আপাতত কেউ যেন সেটি থেকে আসা কোনো বার্তা বা অনুরোধে সাড়া না দেন।
যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, দুই স্তরের নিরাপত্তা (Two-Factor Authentication) চালু করা, এবং পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগআউট করে দেওয়া। সেই সঙ্গে নিজের অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভিটি নিয়মিত মনিটর করাও গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, ফেসবুকের নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জেনে রাখা এবং নিয়মিত সেটিংস আপডেট করাও সময়ের দাবি।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।