১৯৮০ সালে জন্ম নিয়েও, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালিয়াডাঙ্গীর নিরেন

১৯৮০ সালে জন্ম নিয়েও, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালিয়াডাঙ্গীর নিরেন

28 September, 2025 | সময়: 6:30 pm

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উত্তর পাড়িয়া গ্রামের নিরেন চন্দ্র সিংহ জন্ম নেন ১৯৮০ সালের ২২ জুন। তিনি ভুবেন চন্দ্র সিংহ ও সরলা দেবীর পুত্র। ৭১-এর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ১০ বছর পর জন্ম নিলেও তিনি এখন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বয়স বাড়িয়ে নিজের বড় বোনের ৯ বছরের বড় হয়েছেন। রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র। হাতিয়ে নিচ্ছেন মাসিক ভাতা সহ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা।

নিরেনের মত অসুদপায়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন একই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের মোখলেসুর রহমান চেীধুরী ও আব্দুস সালাম চেীধুরী । স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গণঅভুত্থানের পর রয়েছেন আত্নগোপনে, মিলছেনা তাদের কোন খোঁজ খবর।

যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিরেন চন্দ্র সিংহ বলেন, তার কিছুই মনে নেই। অনেক আগের ঘটনা এখন আর মনে নেই। আর জন্ম তারিখটা ভুল হয়েছে।

নিরেনের বড়বোন শ্রীমতি রানী বলেন, সে আমার ছোট ভাই। আইডিতে ভুল হওয়ায় আমার চেয়ে ৯ বছর বয়সে বড় হয়ে গেছে।

১৯৮০ সালে জন্ম নিলেও নিরেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কারণ তিনি ১৯৭০-এর দশকে যুদ্ধ না করা এক তরুণ এবং যুদ্ধের অনেক পরে, অর্থাৎ যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে বা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

যেভাবে সম্ভব:
নিরেন চন্দ্র সিংহ-এর জন্ম ১৯৮০ সালে হলেও, তিনি সম্ভবত ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রচারিত খবর অনুযায়ী, তিনি ছিলেন সেই সময়ের যুদ্ধ না করা এক তরুণ।

মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের প্রেক্ষাপটে, তাঁর মতো অনেকেই ছিলেন যাঁরা পরে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলাম বলেন- হাসিনা সরকার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারখানা নিয়ে বসেছিল। যুদ্ধের সময় জন্ম না হওয়া, শিশু বয়সে থেকেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন৷ যাদের কোন অংশগ্রহণ আমরা দেখিনি। নিরেন, মোখলেস চৌধুরী আর আব্দুস সালাম এরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এমন আরও অনেকে আছে। বর্তমান সরকারকে এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিল করা জরুরি হয়ে পড়েছে৷

ঠাকুরগাঁও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম বলেন, অতীত সরকারের আমলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম হয়েছে। সদর থানায় যুদ্ধের পরে ৩০০ থেকে ৩৫০ যোদ্ধা ছিল। এখন ৮৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। বাকী উপজেলা গুলো বাদে। এসবের সব সুবিধা বঞ্চিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত৷

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এমন কোন অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে৷

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।