ইউটিউব দেখে কোচিং, মাঠ কাঁপাচ্ছে সাড়ে তিন বছরের ঈসা

ইউটিউব দেখে কোচিং, মাঠ কাঁপাচ্ছে সাড়ে তিন বছরের ঈসা
ব্যাট হাতে মাঠ কাঁপাচ্ছে কুড়িগ্রামের এক বিস্ময়বালক। সাড়ে তিন বছরের শিশু মোহাম্মদ ঈসা যখন খেলতে নামে, তখন তাকে ঘিরে ভিড় করে পথচারী ও এলাকাবাসী। চোখে-মুখে বিস্ময়—এত অল্প বয়সেই কী নিখুঁত ব্যাটিং! স্টাইলিশ স্ট্রোক, চার-ছক্কার ঝড় আর বল হাতে স্পিন বোলিং—সব মিলিয়ে এক সম্ভাবনাময় ক্রিকেট প্রতিভা হয়ে উঠছে সে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের মাঠে বাবার কোলে চড়ে আসে ঈসা। খবর কালেরকন্ঠ
ব্যাট-বল হাতে সে অনুশীলনে মেতে ওঠে। কখনো চার মারে, কখনো ছক্কা। আবার বল হাতে তুলে নেয় লেগ স্পিন, কাবু করে ব্যাটসম্যানদের। বৃষ্টি হলে খেলা চলে ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায়।
মাত্র দুই বছর বয়সে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখা যায় ঈসার মধ্যে। সেই আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে বাবা আমিনুর রহমান নিজেই হয়ে ওঠেন কোচ। কাঠের ছোট ব্যবসা সামলে ইউটিউব দেখে নিজেই ছেলেকে শেখাচ্ছেন ক্রিকেটের কৌশল। নিজে কখনো ক্রিকেট না খেললেও ছেলের জন্য কিনেছেন ব্যাট-বলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।
আমিনুর রহমান বলেন, ‘সন্তানের খেলার প্রতি আগ্রহ দেখে ইউটিউব থেকে শেখে শেখে ওকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমার স্বপ্ন, ঈসা একদিন জাতীয় দলে খেলবে, দেশের হয়ে সুনাম বয়ে আনবে। জেলা ক্রীড়া অফিস থেকে কিছুটা সহযোগিতা পেয়েছি, এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।’
ঈসার খেলা দেখে মুগ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারাও। অনেকে বলেন, সুযোগ পেলে এই শিশু একদিন দেশের গর্ব হয়ে উঠবে।
কেদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজিদুল কবির রাসেদ বলেন, ‘শিশুর ক্রিড়া নৈপুণ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে একাডেমি শিক্ষার পাশাপাশি এলাকায় একটি মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তুলতে পারলে ঘরে ঘরে ঈসার মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি হবে।’
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসাইন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈসার খেলা তার নজর কেড়েছে। তার মতে, ঈসা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে সে আরো ভালো করতে পারবে। প্রয়োজনে তাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করানোর জন্য সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।