তেঁতুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আটক
তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়: তেঁতুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে খাদেমুল ইসলাম (২৬) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার গ্রেফতারকৃত খাদেমুল ইসলামকে পঞ্চগড় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আসামীকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।
জানা যায়,গ্রেফতার খাদেমুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের দাড়িয়াগছ গ্রামে।
মামলা এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, খাদেমুল ইসলাম গত চার বছর ধরে ওই নারীর স্বামীর বাড়ীতে যাতায়াত করতো। যাতায়াতের এক পর্যায়ে স্ত্রী মরজিনা খাতুনের সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক শুরু করেন। বিয়ের প্রতিসুতিতে প্রায় দুই বছর পূর্বে মরজিনা খাতুন তার স্বামী রুস্তম আলীকে তালাক প্রদান করেন৷ পরবর্তীতে গত দেড় বছর ধরে খাদেমুল ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় একাধিক বার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এদিকে ওই নারী খাদেমুলকে বিয়ের কথা বললে তিনি বিয়ে করতে তালবাহানা ও সময় ক্ষেপন করতে থাকেন।
এদিকে গত ১১ এপ্রিল খাদেমুল ইসলাম বিয়ে করার কথা বলে ওই নারীকে তেঁতুলিয়া বাজারে ডেকে নিয়ে আসে এবং জোর পূর্বক তেঁতুলিয়া বাজারে দোয়েল আবাসিক হোটেলের ৩য় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়৷ হোটেলের ভিতর নিয়ে গিয়ে বিয়ের কথা বলে আবারো ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক মিলন করেন। পরে ওই নারী বিয়ের কথা বললে খাদেমুল সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে পঞ্চগড়ের দিকে রওনা হয়।
রাতে সদর থানার বোর্ড বাজার এলাকায় নামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়৷ পরে ওই নারী রোববার রাতে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই আসামী খাদেমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷
এদিকে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেন, ধর্ষন মামলার ভিত্তিতে আসামীকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম পেজটি ভিজিট করুন।
Post Comment