ইসরায়েলের হামলায় ২০ ফিলিস্তিনিকে নিহত

যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকলেও রবিবার গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি গণহত্যামূলক অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। খবর আনাদোলুর।

সূত্রগুলো জানায়, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-জাওয়ায়েদা শহরে একটি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কফি শপে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালায়।

সেখানে কয়েকটি হাসপাতাল ও বাস্তুচ্যুতদের জন্য স্থাপিত তাঁবু শিবিরও রয়েছে। এ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও অনেকে আহত হন।
নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি স্কুলে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও চারজন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। একই শিবিরে ‘আল-আহলি ক্লাব’ সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন।

নুসাইরাত ক্যাম্পেই আরেকটি বিমান হামলায় তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও দুইজন প্রাণ হারান। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে বোমা হামলায় চারজন নিহত ও আটজন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের পশ্চিমে একটি বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতেও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন।

আনাদোলুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনুস শহরের পূর্বাঞ্চলে তথাকথিত ‘ফায়ার বেল্ট’ অভিযান শুরু করেছে। ওই এলাকা এখনো ইসরায়েলি দখলে রয়েছে।

এই হামলাগুলো এমন সময়ে ঘটেছে যখন রাফাহ এলাকায় সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ তুলে ইসরায়েল আবারও বিমান হামলা শুরু করেছে। তবে হামাস ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।