Loading Now

জেলা বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড় ঝাঁপ, জামায়াতের ১, মাঠ গোছাচ্ছে এনসিপি

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ ওকাহারোল) সম্প্রতি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে জাতী আগামী জাতীয় সংসড় নির্বাচনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

তারা গত ঈদের সময় থেকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা ছাড়াও জামাত এন্ডসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা নির্বাচনী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। অন্যদিকে জামাতের একক প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেই নির্বাচনী তৎপরতা ও জনসংযোগ, আগে থেকেই শুরু করেছেন। তবে অন্যান্য সংগঠনের তুলনায় এনসিপি তৎপরতা কম। তবে তাঁরা এখন সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরী করতে ও ঘর গোছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আগামী জাতয়ি সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও মনোনয় প্রত্যাশীরা নির্বাচনী এলাকায় ইদ করেছেন। এ ছাড়াও জামাত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তৎপর ছিলেন। কিছুটা হলেও জাপা ঘরে বসে নেই। তারা নড়ে চড়ে বসেছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ জেলা নেতৃবৃন্দ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞার পর দলটির নেতাদরে বড় অংশ আত্ম গোপনে রয়েছেন।

২০০১ সাল থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করায় এটি বরাবরই ছেড়ে দিয়ে আসছিল বিএনপি। জামায়াতের তাই আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তরুণ নেতাকে। তিনি হলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক ও দিনাজপুর শহর শাখার সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মতিউর রহমান।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনজন। তাদের মধ্যে বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আগেও কয়েকবার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এ ছাড়া বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু এবং কাহারোল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী মামুনও মাঠে তৎপরতার চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিল্পপতি মঞ্জুরুল বলেন, অনেক আগে থেকেই নানাভাবে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। পাশে থাকছেন নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে। এবার তাকেই দল মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি। তবে আমি মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচিত হবো।
জামায়াত প্রার্থী মতিউর বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার পর নির্বাচনি এলাকায় মানুষের মাঝে চোষে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছি, যাতে জনগণ আমাকে আপন করে নিতে পারে। আমি সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে অংশগ্রহণ করছি। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে অবশ্যই আমি জিতবো।

এ ছাড়া এই আসনে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ও কাহারোল দারুস সালাম দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোশাররফ হোসেন মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ)
এই আসনে বিএনপির এখন মাঠে ৪ জন মেেনানয়ন প্রত্যাশী। এরা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম ও বিরল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনম বজলুর রশিদ কালু।

২০১৮ সালে মনোনয়ন পাওয়া সাদিক রিয়াজ এবারও দলের টিকিট পাবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে মোজাহারুল ইসলামও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছেন তিনি। তাই কাছে থাকার চেষ্টা করছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মীর।

এ আসনে জামায়াতের রয়েছে একক প্রার্থী। তিনি হলেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি ও বিরল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বুনিয়াদপুর আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফসালুল আনাম।

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, এনসিপির নেতা ইসমাইল হোসেন ও খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা জোবায়ের সাঈদও নির্বাচনি মাঠে তৎপর।

দিনাজপুর-৩ (সদর)
খালেদা জিয়ার পৈতৃক ভিটা এই শহরে। তার বাবা-মাসহ স্বজনদের কবরও রয়েছে এখানে। আসনটির মাটিতে প্রোথিত আছে বিএনপি চেয়ারপারসনের নানা স্মৃতি। ভোটের মাঠেও প্রভাব থাকে এই দলের। জাতীয়তাবাদীদের এই ঘাঁটিতে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপির ছয় নেতা। তারা হলেনÑজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।

অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল বলেন, দলের সব কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালন করছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক স্থাপন করেছি। এ কারণে আওয়ামী আমলে মামলা- হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের জন্য দীর্ঘদিন থাকতে হয়েছে জেলে। ফলশ্রুতিতে ২০১৮ সালে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিল, এবারও টিকিট পাব বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

মনোনয়ন পেতে আগে থেকেই পদচারনা দোয়া চেয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শিল্পপতি হাফিজুর রহমান। তিনি ভোটারদের নিজের পক্ষে টানতে নানান সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচার কাজ চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ঈদের মধ্যে জন সম্পৃক্ততা ও মাঠের কার্যকারিতা ব্যাপক হারে চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিশিষ্ট্য শিল্প পতি হাপিজুর রহমান বলেন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে আমাকে যদি চুড়ান্ত ভাবে মনোনীত করলে আমি আশা করি নির্বাচিত হব। তিনি যদি ভোটে নির্বাচিত হলে দিনাজপুর সদর- ৩ আসনে কি কাজ করবেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুশাসন, স্বচ্ছতা, দুর্ণীতিমুক্ত জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগনের যে কোন পদক্ষেপ যা প্রয়োজন হবে সেটাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।

দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও দিনাজপুর পৌরসভার টানা তিনবারের সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, প্রয়াত মন্ত্রী খোরশিদ জাহান হক চকলেটের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (সাময়িক বহিষ্কৃত) বখতিয়ার আহমেদ কচি, জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি হাফিজুর রহমান সরকার।

এই আসনেও জামায়াতের একক প্রার্থী রয়েছে। দলের জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাইনুল আলমের নাম আগেই ঘোষণা করায় প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি জনগণের সমর্থন কুড়ানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ আসনে অন্যদলও প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মুফতি মুহাম্মাদ খাইরুজ্জামান, খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম উল্লেখযোগ্য।

দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা)
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে এবার মনোনয়ন চান দলটির দুই নেতা। তারা হলেনÑসাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) মোস্তফিজুর রহমান। উভয়ই নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর রয়েছেন, দলের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, ‘এখানে বিএনপির অন্য প্রার্থীদের কর্মকা- জনগণ দেখেছেন। তারা এবার নতুন কাউকে প্রার্থী হিসেবে চান। তাই নানা কর্মসূচি নিয়ে সর্বদা মাঠে থাকছি, আগলে রাখার চেষ্টা করছি তৃণমূ্লরে নেতাকর্মীদের। এ কারণে কয়েকবার হামলারও শিকার হয়েছি।’

এতদিন বিএনপির আধিপত্য থাকলেও আসনটির ইতিহাস বদলে দিতে চায় জামায়াত। চমক দেখাতে এবার দলের জেলা শাখার সাবেক আমির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন মোল্লাকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন বলে তার বিশ্বাস।

এ ছাড়া এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইমামুর রশিদ, মাঠে তৎপর ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন নদভী।

দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী)
গুরুত্বপূর্ণ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই দুর্গ কবজায় রাখতে এবার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির চার নেতা। তারা হলেনÑপার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হক, পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এসএম জাকারিয়া বাচ্চু, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নওশের ওয়ান এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম। তারা সবাই নানা কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, কামনা করছেন তাদের সমর্থন ও দোয়া।

বিএনপি নেতা জাকারিয়া বাচ্চু বলেন, ‘অনেক বিএনপি নেতা এতদিন এলাকায় ছিলেন না। এখন তারা মনোনয়ন বাগানোর চেষ্টা করছেন। আর আমি মাঠে থেকে আওয়ামী দুঃশাসন সহ্য করেছি, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নানা সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে ও সামাজিক কাজ করে এলাকার মানুষের হৃদয় জয় করেছি। এবার দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।’

এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য আবু সায়েম মিন্টু, এনসিপির টিকিট পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. আবদুল আহাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সহসভাপতি লিয়াকত আলী।

দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ)
চার উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার বৃহত্তম এ আসনে মূলত রাজত্ব কায়েম করেছে জামায়াত। দলটির নেতারা দুইবার এখানে জয় পেয়েছিলেন। এবার ভোটের সমীকরণ পাল্টে দিতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চিকিৎসক নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যের পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও আস্থাভাজন। এখানে হেভিওয়েট নেতা থাকায় দলের অন্য কেউ আবার মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন না। এলাকায় ডা. জাহিদের বেশ জনপ্রিয়তাও রয়েছে।

রাজত্ব ধরে রাখতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা শাখার সাবেক আমির ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম। এবারও তিনি জনসমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

এ আসনে প্রার্থী দিয়েছেন অন্য ইসলামী দলও। তাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা সভাপতি ডা. নুর আলম সিদ্দিক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সহসভাপতি মুফতি নুরুল করিম ও এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক উল্লেখযোগ্য।

দিনাজপুর শহরের লালবাগ এলাকার বাসিন্দা সোহাগ বলেন, ‘ভোট কতটা সুষ্ঠু হবে জানি না। তবে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভোট হবে এটাই আনন্দের বিষয়। আমরা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দেখেছি, এবার বিকল্প কোনো দলকে ভোট দেওয়ার চিন্তা করছি।’

শহরের ঘাষিপাড়া এলাকার আকাশ নামে নতুন ভোটার বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার আগেই কোনো কোনো দলের যে অবস্থা ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে, আল্লাহই ভালো জানেন। তাই নতুন ভোটার হিসেবে আমি নতুন কোনো দলকে ভোট দিতে চাই।’

শিক্ষাবিদ ও নির্বাচন বিশ্লেষক মকসেদ আলী জানান, সংস্কারের পর নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে এবং পরের নির্বাচনগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সুশীলসমাজের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন কাঠামো বা পদ্ধতি ঠিক করা। এজন্য সবার আগে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় নিকটাত্মীয়ের মতো আবারও ভোটাধিকার বঞ্চিত হবেন না।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।