কাহারোলে বর্ষায় কদর বেড়েছে ছাতার কারিগরের

দিনাজপুর : “নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাই আর নাহিরে, ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে”। হ্যাঁ পঞ্জিকার পাতা অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল চলছে আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। বর্ষায় কদর বাড়ছে ছাতার কারিগরদের। যদিও এখন রোদ বৃষ্টির লুকোচুড়ি খেলা চলছে বছরের অনেকটা সময় জুড়ে ঘরের কোনেই থাকে পড়ে। হয়তো কোথাও ঝুলিয়ে রাখা হয়। আধুনিক কালে ফোল্ড করে আলমারী বা ওয়ারড্রোবেও রাখা যায়। হ্যাঁ ছাতার কথায় বলছি। চায়না সর্ব প্রথম ছাতা আবিস্কার করে রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। পরবর্তী সময় রোদ থেকে রক্ষার পাশাপাশ্বি বৃষ্টি থেকেও রক্ষা পেতে ব্যবহার হচ্ছে ছাতা।

আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন

চলছে বর্ষা কাল। বর্ষা কালের প্রকৃতির মূল্য উপাদান বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে চলাচলের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে ছাতা। তাই কেউ কিনছেন নতুন ছাতা আর কেউ বা মেরামত করছেন পুরাতন ছাতা। গতকাল জয়নন্দ হাটে দেখা যাচ্ছে ছাতা মেরামতের কারিগরদের দমফেলার সময় নেই। ব্যস্ত সময় পার করছে ছাতা মেরামত করে। কে কার আগে ছাতা মেরামত করে নিতে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলছে। বর্ষা মৌসুমে যেমন ছাতার ব্যবহার বাড়ে। বর্ষায় ছাতা ঠিক না থাকলে পথ চলায় দায়।

দীপশিখার প্রতিবন্ধীদের প্রকল্প অবহিত করণ সভা

গ্রামের পথ হাট বাজার ছাড়াও ছাতা মেরামতকারীরা পাড়া মহল্লার রাস্তার পাশে বসে থাকে। আবার অনকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে আছে ভাঙ্গাচোরা ছাতা, ছাতা সাড়ায় বলে হাক জাগতে থাকে। ছাতা আধুনিক কালে বিভিন্ন রংঙ্গের হয়ে থাকে ছাতা যতই দৃষ্টিনন্দনই হোকনা কেন মেলাতে না পাড়লে ভিতরের কোন পাটস নষ্ট বা খুলে গেলে মেলাতে অসুবিধা হলে কারিগর ছাড়া কোন গতি নাই। তাদের ব্যাগে ছাতা সারায়ের যন্ত্র থাকে। সুই-সুতো, ছোট হাতুড়ী, সাড়াশির সঙ্গে টুকরো কাপড় ছাতার ভিরতে রিং- স্পোক, কাটা গুনা সহ কত রংঙ্গের জিনিসই থাকে।

আমাদের গ্রপে যুক্ত হোন

রোববার দুপুর ১২টায় জয়নন্দ বাজারে আবুল হোসেন নামে একজন ছাতা মেরামতকারী বলেন, ছাতা মেরামত করার সময় কোন জিনিস ফেলে দেওয়া হয় না। নতুন করে পাল্টে নেওয়ার পড়ও ঐ ভাঙ্গা টুকরো রেখে দেওয়া হয়। যাদের ছাতার সামান্য ক্ষুত আছে তা বসিয়ে দেওয়া হয়। এই ভাবেই দ্রুত মেরামত করে দেওয়া ছাতা। গৃহস্থ ও কৃষানীরা গ্রীষ্ম, বর্ষায় ছাতা ছাড়া ঘরথেকে বের হন না। ছাতা এখন মর্যাদার প্রতীক । ছাতা হাতে গ্রামের স্কুলের মাষ্টার মশাইএর পথচালা এখনো থামেনি। একটা সময় পায়জামা- পাঞ্জাবি পড়া ঘটকের হাতে বা বগলের নীচে ছাতা থাকতই। নুতন জামায় বড় যাত্রার ছাতা ব্যবহার করত না।