গভীর অবিশ্বাসে ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগান আলোচনা
গভীর অবিশ্বাসে ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগান আলোচনা
তুরস্কের ইস্তানবুলে তিন দিনব্যাপী শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সংলাপ ভেস্তে গেছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, ইস্তানবুলে প্রায় ১৮ ঘণ্টা আলোচনার পর আফগান প্রতিনিধিদল কাবুলের নির্দেশে তাদের অবস্থান বদলাচ্ছে। যার ফলে ইসলামাবাদের মূল দাবি পাকিস্তান তালেবানের সশস্ত্র সংগঠন (টিটিপি) বিরোধী কঠোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আফগান পক্ষ সমন্বয়ের অভাব ও পাকিস্তানের তৎপরতা না থাকা নিয়ে পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
বৈঠকে আফগান দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উপমন্ত্রী হাজি নাজিব। পাকিস্তান তাদের প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করেনি। সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংঘর্ষ ও আক্রমণে দুই দেশের সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের পারস্পরিক অভিযোগ, পাকিস্তানের ওপর আফগানের সন্দেহ ও আফগান তালেবানের টিটিপির সঙ্গে আদর্শিক সংযোগ কূটনীতি সফলতাকে জটিল করে তুলছে। উইলসন সেন্টারের প্রাক্তন ফেলো বাকির সাজ্জাদ সৈয়দ বলেন, ‘গভীর অবিশ্বাস ও বিরোধপূর্ণ অগ্রাধিকার দীর্ঘমেয়াদী নিষ্পত্তিকে কঠিন করেছে।’
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে- কাতার ও তুরস্ক ছাড়াও চিনসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামাবাদ যদি নিজের উদ্বেগের সমাধান ঘটাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সামরিক বিকল্প ব্যবহারের পথও খোলা থাকতে পারে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সাম্প্রতিক কড়া বক্তব্য ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে সীমান্তপারে বিমান হামলা বা সীমান্তে অভিযান হতে পারে।’
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, যদি পরিস্থিতি এমনভাবেই এগোয়, তাহলে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। হামলা-পাল্টা হামলার ফলাফল হিসেবে বেসামরিক নাগরিক হতাহত বাড়তে পারে। এতে আফগান জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাকিস্তান-বিরোধী অনুভূতিও তীব্র হতে পারে। এতে সবচেয়ে লাভবান হবে টিটিপি। ফলে দেশটির নিরাপত্তা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।