ঢাকা মেডিকেলের এক নিউরোসার্জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি

ঢাকা মেডিকেলের এক নিউরোসার্জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি

5 November, 2025 | সময়: 5:43 am

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের এক রেসিডেন্ট চিকিৎসকের অভিযোগের পর নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম খানকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।

Ad1st বিজ্ঞাপন

গতকাল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে যুগ্ম সচিব সানজীদা শরমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেলের নিউরো স্পাইন সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম খানকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক জেনারেল/ ক্লিনিকাল নিউরো সার্জারি বিভাগের বিপরীতে পদায়ন করা হয়েছে। বদলির আদেশ জারির তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বদলিকৃত/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্ম দিবসে অবমুক্ত হবেন। অবমুক্তির সময় তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন এবং এইচআরএম ডাটাবেজ থেকে মুভ আউট হবেন এবং যোগদানের পর ন্যস্তকৃত বিভাগে/কর্মস্থলে মুভ ইন হবেন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

উল্লেখ্য, গতকাল এই ডা. মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অশালীন ও অপমানজনক মন্তব্যের অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে দেড় ঘণ্টা রুটিন অপারেশন বন্ধ রাখেন অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসকরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের ফেজ-এ রেসিডেন্ট ডা. নুসরাত নওশিন নওরিন গত ১ নভেম্বর নিউরোসার্জারি বিভাগের ‘হোয়াইট ইউনিট’-এ যোগদানের পর ইউনিট প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম খানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে একের পর এক অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক মন্তব্য করেন।

ঘটনার পরদিন সোমবার সকালে অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসকরা একযোগে প্রতিবাদে অংশ নেন।

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট ডা. নওশিনের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১ নভেম্বর তিনি একাডেমিক কারিকুলাম অনুযায়ী নিউরোসার্জারি বিভাগের হোয়াইট ইউনিটে যোগ দেন। যোগদানের পর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম খানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ব্যক্তিগত ও বিভাগীয়ভাবে অপমানজনক ভাষায় মন্তব্য করতে থাকেন।

অভিযোগে বলা হয়, তিনি অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ‘কুকুরের জাত’ বলে বারবার সম্বোধন করেন এবং নির্দিষ্ট চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে গালিগালাজ করেন। এমনকি সহকর্মী চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়েও অশোভন মন্তব্য করেন।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ রয়েছে, ডা. শামসুল ইসলাম খান অ্যানেস্থেসিওলজি পেশাকে ‘নিম্নমানের ও নির্ভরশীল সাবজেক্ট’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন এবং এক পর্যায়ে ব্যক্তিগতভাবে অপদস্থ করার মতো ভাষা ব্যবহার করেন। এ ঘটনায় সহকর্মীদের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত আজকের প্রতীকী কর্মবিরতিতে রূপ নেয়।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।