আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে বাগরাম ঘাঁটি ফেরত না দেয়, তবে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাগরাম বিমানঘাঁটি আমরাই তৈরি করেছি। এটা আমাদের ঘাঁটি। আফগানিস্তান যদি এটা ফেরত না দেয়, তাহলে তারা যেন জানে, ভালো কিছু ঘটবে না।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তখনই কাবুলের দক্ষিণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বাগরাম ঘাঁটি নির্মাণ করে তারা। পরবর্তী ২০ বছর এটি মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
তবে ২০২১ সালে তালেবান ফের ক্ষমতায় এলে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। ওই বছরের ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনাদল কাবুল ত্যাগ করে। এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ থেকেও বেরিয়ে যায় বাগরাম ঘাঁটি।
এবার সেই ঘাঁটি ফেরত পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ থেকেই ঘাঁটিটি পুনরুদ্ধারের কূটনৈতিক ও কৌশলগত প্রস্তুতি শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও ট্রাম্প বলেন, চীনের এত কাছে থাকা বাগরাম ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিনিময় ছাড়া তালেবানের কাছে সেটি ছেড়ে দেওয়া ছিল বড় ভুল।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ঘাঁটি ফেরত পেতে তিনি কি সেনা পাঠাবেন? তবে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, এটা এখনই বলছি না। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা চাই বাগরাম দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসুক। যদি তারা ফেরত না দেয়, তাহলে আমি কী করব, তা শিগগিরই দেখতে পাবেন।
এদিকে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। কাবুল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে কোনোভাবেই বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাকির জালালি সামাজিকমাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, আফগানিস্তানের ভেতরে কোনো মার্কিন সেনার উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।
তবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। তবে তা হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পূর্ণ স্বাধীনতার ভিত্তিতে।
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।