সৈয়দপুরে কারখানায় উন্মুক্ত স্থানে থেকে নষ্ট হচ্ছে মালবাহী ওয়াগন

সৈয়দপুরে কারখানায় উন্মুক্ত স্থানে থেকে নষ্ট হচ্ছে মালবাহী ওয়াগন

22 September, 2025 | সময়: 2:27 pm

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ইয়ার্ডে দেড় যুগ ধরে পড়ে আছে প্রায় ৩০০ মালবাহী ওয়াগন। রোদ–বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ১৭৫ কোটি টাকার এসব ওয়াগন। মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় ওয়াগনগুলো এখন কার্যত পরিত্যক্ত।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বিসি (আচ্ছাদিত বগি) ধরনের মালবাহী ওয়াগনের সংখ্যা প্রায় ৩০০। প্রতিটি ওয়াগন আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২১টি ওয়াগন কোনোভাবে চালানো হলেও বাকিগুলো সৈয়দপুর, পার্বতীপুর ও সান্তাহারসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জংশন ইয়ার্ডে পড়ে আছে বহু বছর ধরে। একটি ওয়াগন সচল করতে প্রয়োজন ১৬টি মেটালিস্টিক রাবার ইউনিট। প্রতিটির দাম ৬ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় এত বছরেও ওয়াগনগুলো মেরামত করা হয়নি।

সরেজমিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ইয়ার্ডে মরিচা ধরা ৫০টির বেশি ওয়াগন পড়ে আছে। দীর্ঘদিন রোদ–বৃষ্টিতে থাকায় সেগুলো অনেকটাই অচল হয়ে গেছে। একইভাবে সান্তাহার জংশনে ৯০টি এবং পার্বতীপুর ডিপোতে ১২০টির মতো ওয়াগন পড়ে আছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে শ্রমিকদের দাবি, ওয়াগনগুলো কারখানায় এনে মেরামত করলে আবারও চলাচল উপযোগী করা সম্ভব। এতে সরকারের কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। তবে যন্ত্রাংশের অভাব ও চাহিদা না থাকার অজুহাতে ওয়াগনগুলো ইয়ার্ডে ফেলে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৈয়দপুর রেলওয়ের এক উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, প্রয়োজনীয় মেটালিস্টিক রাবার ইউনিট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিসি ধরনের ওয়াগনগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন জংশন ইয়ার্ডে ৩০০ ওয়াগন অচল অবস্থায় পড়ে আছে।

রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, কাগজে-কলমে এ ওয়াগনের মেয়াদ শেষ হলেও এগুলো মেরামত করলে আবার চলতে পারবে। নতুন ওয়াগন আমদানির চেয়ে অনেক কম খরচে এগুলো আধুনিকায়ন করা সম্ভব।

তবে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান বলেন, একটি ওয়াগনের অর্থনৈতিক আয়ু ৪০ থেকে ৪৫ বছর। কিন্তু যেগুলো পড়ে আছে, সেগুলোর বয়স প্রায় ৭০ বছর। অনেকগুলোর বডি, চাকা সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। পুরোনো নকশায় তৈরি হওয়ায় এগুলো বর্তমানের সঙ্গে মানানসই নয়। কিছু মেরামত করার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের প্রতিবেদনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।