পঞ্চগড়ে চা কারখানার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা

পঞ্চগড়ে চা কারখানার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা

24 September, 2025 | সময়: 6:07 pm

পঞ্চগড়ে উত্তরা গ্রীন টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে পাঁচ তরুণ উদ্যোক্তা হয়রানির শিকার হয়েছেন। মামলার মাধ্যমে এ হয়রানির প্রতিবাদে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কারখানা চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তরুণ উদ্যোক্তা আরিফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘উত্তরা গ্রীন টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে চা কারখানাটি পরিচালকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে বন্ধ ছিল। একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী আইরিন পারভীন, তার সন্তান ও ভায়রা ভাই। অপরপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও তারিকুল ইসলাম।’

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে যখন ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তার মোটিভেশনাল বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা পাঁচ তরুণ উদ্যোক্তা, কারখানাটির এমডি ও সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকদের অনুমতিক্রমে আদালতের অনুমতি নিয়ে একটি চুক্তিপত্র অনুযায়ী কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কারখানাটিতে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু ভাড়া নেওয়ার কয়েক মাস পরেই আব্দুর রাজ্জাক আমাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে কারখানার চেয়ারম্যান আইরিন পারভীন, পরিচালক শাহ আলম মিঠু, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন এবং আমার ছোট ভাই রাকিব হোসেনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পরিচালকদের দ্বন্দ্বে যদি কারখানাটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শতাধিক পরিবার কর্মসংস্থান হারাবে। কারখানাটি সচল রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই কারখানার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে এবং চা চাষিরাও সরাসরি কাঁচা পাতা বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার ছোট ভাই রাকিবসহ আমরা সকলে এই কারখানার উৎপাদন ও পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা থেকে আমাদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন, কারখানার কর্মকর্তা মকবুল হোসেন, মন্তাজ আলী, শ্রমিক এবং স্থানীয় চা চাষিরা।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।