বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন মৃত্যু ফাঁদ

বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন মৃত্যু ফাঁদ

30 September, 2025 | সময়: 9:02 pm

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে রোগীর উপর। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার কারণে ভর্তি থাকা বেশ কয়েকজন রোগী আহত হয়েছে।

এতে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ কারণে কেউ কেউ রোগীকে আর হাসপাতালে ভর্তি না রাখার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা।

উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরাজীর্ণ ভবনগুলি যেন মৃত্যু ফাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে আউটডোরে ৪০০ থেকে ৪৫০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এবং প্রতিদিন ৪০-৫০ জনের অধিকও ভর্তি থাকে।

তবে চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ৪জন। এই ৪জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালে এই অবস্থায় চিকিৎসা সেবা দিতে যেমন চিকিৎসকগণ হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভর্তি হয়ে সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এঅবস্থায় হাসপাতালটি অবকাঠামো দ্রুত পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এই এলাকার মানুষ।

উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট থেকে আসা এক রোগীর স্বজন মোছাঃ জোহরা বেগম বলেন, আমার মা এখানে ভর্তি আছেন। হঠাৎ ছাদের পলেস্তরা ভেঙে পড়ে মাথায় লাগলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এখন আর রোগীকে এখানে রাখতে ভয় পাচ্ছি।

হাসপাতালে ভর্তি মোছাঃ মুনিরা বেগম বলেন, আমি ৫দিন ধরে এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছি। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে এখানে ছাদের পলেস্তরা শরীরের উপর এসে পড়ে। যদি বড় মাথার ওপর এসে পড়ে তাহলে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল ওয়ারেছ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি উপজেলাবাসীর একমাত্র হাসপাতাল। রোগীরা যদি এখানে নিরাপদ না থাকে তবে মানুষ চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে? আমরা চাই অবিলম্বে হাসপাতালের সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আফরোজ সুলতানা জানান, আমাদের ইনডোরে মহিলা ওয়ার্ডে একটি ভবনের ছাদের পলেস্তার ধসে পড়ছে। এ ভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না। আমরাও এটা খুবই অনিরাপদ মনে করছি।

এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। ছাদ বিভিন্ন সময়ে পলেস্টার খসে খসে পড়ছে রোগীর বিছানায়। এর আগে অনেক রোগী আহত হয়েছেন তাদের গায়ের উপর পলেস্তার ধসে পড়ছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে কিছুদিনের মধ্যেই এই ওয়ার্ডটি কে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হবে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।