দিনাজপুর রঙিন মাছে রঙিন স্বপ্ন গড়ছেন রাকিব

দিনাজপুর রঙিন মাছে রঙিন স্বপ্ন গড়ছেন রাকিব
অ্যাকোয়ারিয়ামে, পাকা চৌবাচ্চায় কিংবা পুকুরে নয়, নিজ বাড়ির আঙিনায় পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি চৌবাচ্চা আর রিং দিয়ে তৈরি হাউসে রঙিন মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ইয়াছিন আলী রাকিব (২৭) নামের এক যুবক।
ইয়াছিন দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্ণাই হাজীপাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ২০১৯ সালে ৩৬০ টাকা পুঁজি দিয়ে রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। সেই রঙিন মাছ আজ তাঁর জীবন রঙিন করে তুলেছে।
রঙিন মাছ শুধু তাঁরই জীবন রঙিন করেনি, তাঁর পাশাপাশি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য যুবকের জীবন রঙিন করে তুলছে।
ছোট পরিসরে রঙিন মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তাঁর খামারে পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মাছ চাষ হচ্ছে। আর তাঁর খামারেই চাকরির সুযোগ হয়েছে ওই এলাকার দুই যুবকের।
ইয়াছিন আলী রাকিবের রঙিন মাছের খামারটি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত। নাম দিয়েছেন ইয়াছিন একুয়া ফার্ম।
খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যুবক ইয়াছিন নিজের বাসায় গড়ে তুলেছেন রঙিন মাছের খামার। বাড়ির আঙিনায় ছোট-বড় হাউসের পানিতে রঙিন মাছ চাষ করছেন। বর্তমানে তাঁর খামারে গাপ্পি, মলি, প্লাটি, সরটেইল, জেব্রা, কই কার্প, কমেট, গোড়ামি, অ্যাঞ্জেল, টাইগার বার্ব, গ্রিন বার্ব, টেট্রা, টাইগার সার্ক, ব্লাকমর, রেড কেপ, গোল্ড ফস, পেরোট ও এলগি জাতের রঙিন মাছ রয়েছে।
কথা হয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানাফ ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমিসহ সাতজন ইয়াসিন ভাইয়ের কাছ থেকে রঙিন মাছ কিনে বিক্রি করি। এটা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছুটা লাভ হয়।’
ইয়াছিন আলী রাকিব বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে দুজন যুবক কাজ করে। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে আমার ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়।
বর্তমানে আমার খামারে পাঁচ-ছয় লাখ টাকার মাছ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই খামার করার পর দুটি কম্পানিতে চাকরি পাই। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই খামারে মনোযোগী হয়েছি।’
দিনাজপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, ‘সহযোগিতা চাইলে আমরা রঙিন মাছ চাষিদের সব ধরনের সুবিধা দেব।’
📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের
ইনস্টাগ্রাম
ভিজিট করুন।