প্রকাশ হতে যাচ্ছে মালালার লেখা আত্মজীবনী ‘ফাইন্ডিং মাই ওয়ে’

প্রকাশ হতে যাচ্ছে মালালার লেখা আত্মজীবনী ‘ফাইন্ডিং মাই ওয়ে’

9 October, 2025 | সময়: 11:31 am

মালালা ইউসুফজাইকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের অধিকারকর্মী মালালা প্রতিরোধ, শিক্ষা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক।

স্নাতক শেষ করার আগেই মালালা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিককে বিয়ে করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন প্রেমের পর ২০২১ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেন তারা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ই আসার মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু মালালার। ২১ অক্টোবর প্রকাশিত হবে মালালার লেখা আত্মজীবনী ‘ফাইন্ডিং মাই ওয়ে’। এই বইয়ে নিজের প্রেম–বিয়েসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন মালালা।

সেখানে যোগাযোগ শুরুর বর্ণনা দিয়ে মালালা লিখেন, প্রথম ফোনালাপে তাকে বলেছিলাম অক্সফোর্ডে আমার কী অবস্থা; ক্লান্তি, আতঙ্ক, প্যানিক অ্যাটাক। তার পর থেকে সে প্রায় প্রতিদিন ফোন করত। প্রথমে মূলত আমার শারীরিক অবস্থার খবর নিত, নিশ্চিত করত, আমি আয়রন সাপ্লিমেন্ট খেয়েছি কি না, আর দুই দিন ধরে শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার কথা শুনে হালকা বকাও দিত। ধীরে ধীরে আমাদের কথোপকথন দীর্ঘ হতে লাগল। সেলিব্রিটি ক্রাশ থেকে ছোটবেলার স্বপ্ন—সবকিছু নিয়েই আমাদের কথা হতো।

এরপর দুজনের সম্পর্ক এগিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতোই। বন্ধুত্ব থেকে আরেকটু বেড়ে পরিণত হয় ভালোবাসায়।

মালালার বর্ণনায়, আমাদের সম্পর্ক তত দিনে আর শুধু বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিষয়টা আমরা দুজনই বুঝে গিয়েছিলাম। সে আমাকে ‘বেব’ বলে ডাকত। আমার পাঠানো ছবি দেখে বলত, ‘তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।’

আগে ডেটিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় মনে হতো, আমি যেন ২৯ বছর বয়সী একজন পুরুষের সঙ্গে কিশোরীর মতো উচ্ছ্বাসে প্রেম করতে চাইছি। সে (আসার) যদি কোনো দিন খুদে বার্তায় জানাত আজ কাজের চাপে ব্যস্ত, তাই নির্ধারিত সময়ে ফোন করতে পারবে না, তখন অভিমান করতাম। উত্তরে লিখতাম, ‘তোমার তো এখন আমার জন্য সময়ই নেই। হয়তো আমি তোমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ নই।’

তার মনোযোগ পাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করেই ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করতাম। আমার এমন আচরণে সে হেসে ফেলত। আমাকে বলত ‘ড্রামা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট’, সঙ্গে জানাত, সে–ও আমাকে মিস করছে।

এরপর আসার মালিক ইংল্যান্ডে আসার পর সম্পর্কের গভীরতা শুধু বাড়তেই থাকে।

সে দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে মালালা লিখেন, যেদিন আসার ইংল্যান্ডে এল, সেই মুহূর্ত থেকেই আমাদের গ্রীষ্মের খুনসুটি-ঝগড়া আর সম্প্রতি চার ঘণ্টার ফোনালাপের অভিজ্ঞতা মিলে নতুন এক উত্তেজনা তৈরি হলো। তখন আমরা সারা দিন একসঙ্গে কাটাতাম। তারপর বাসায় ফিরেই আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতাম। লন্ডনের দিকে লং ড্রাইভে বেরিয়ে আমরা চমৎকার অনুভূতি নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতাম। পাশাপাশি থাকতে পেরেই খুশি হতাম। আমরা রাস্তার পাশের গ্রামের দৃশ্য উপভোগ করতাম আর আমার নিরাপত্তারক্ষীদের বাজানো নব্বইয়ের দশকের গান শুনতাম।

অক্সফোর্ডে আমার তৃতীয় সেমিস্টার নিয়ে চোখে যে অন্ধকার দেখছিলাম, আসার আসায় সেটা অনেকটা কেটে গেল। তবে এটা ঠিক, আমাদের এই সময়ের প্রেমের পুরোটা গ্রীষ্মকালীন রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিল না। কারণ, ধরা পড়ে যাওয়া নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।