ফ্রান্সে কঠোর হচ্ছে রেসিডেন্স পারমিটের শর্ত, বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা

ফ্রান্সে কঠোর হচ্ছে রেসিডেন্স পারমিটের শর্ত, বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা

19 October, 2025 | সময়: 2:55 pm

ফ্রান্সে নাগরিকত্ব ও দীর্ঘমেয়াদী রেসিডেন্ট পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আবেদনকারীদের দিতে হবে ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের (এমসিকিউ) ডিজিটাল পরীক্ষা। পাস করতে হবে অন্তত ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক ডিক্রিতে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নাগরিকত্ব, দুই বা চার বছর মেয়াদী রেসিডেন্স কার্ড এবং ১০ বছর মেয়াদী স্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট এই তিন ধরনের আবেদনেই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সীমা থাকবে ৪৫ মিনিট। প্রশ্নগুলো থাকবে প্রজাতন্ত্রের নীতি ও মূল্যবোধ, রাজনৈতিক কাঠামো, অধিকার ও কর্তব্য, ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি ও ফরাসি সমাজে জীবনযাপন নিয়ে।

নতুন নিয়মে ভাষাগত দক্ষতার মানও বাড়ানো হয়েছে। নাগরিকত্বের জন্য ফরাসি ভাষায় বি২ স্তর, আর স্থায়ী রেসিডেন্ট পারমিটের জন্য বি১ স্তর অর্জন বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র অনুমোদিত কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং প্রার্থীর পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক। প্রতারণা প্রমাণিত হলে আবেদন বাতিল হবে এবং দুই বছরের জন্য নতুন আবেদন নিষিদ্ধ থাকবে।

ফরাসি সরকারের দাবি, এই উদ্যোগের লক্ষ্য অভিবাসীদের ফরাসি সমাজে অন্তর্ভুক্তি ও নাগরিক মূল্যবোধে একাত্ম করা। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, কঠোর ভাষা ও পরীক্ষা মানদণ্ড অনেক অভিবাসী—বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবার ও শরণার্থীদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

ফ্রান্সে বসবাসরত ও প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য এই পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ভবিষ্যতে ফরাসি নাগরিকত্ব বা দীর্ঘমেয়াদী বসবাসের অনুমতি পেতে চান, তাদের এখন থেকেই ফরাসি ভাষা শেখা এবং দেশটির ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত। কারণ নতুন এমসিকিউ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে আবেদন বাতিল হবে এবং নাগরিকত্বের পথ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

📷 ইনস্টাগ্রাম নোটিশ:
সার্ভারে জায়গা স্বল্পতার কারণে ছবি সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। ছবি পেতে আমাদের ইনস্টাগ্রাম ভিজিট করুন।